বিজ্ঞাপন

ওর্ডকে রাখতে পারলো না বাফুফে, ‘বাই বাই’ ব্রাউনও

April 4, 2018 | 9:59 pm

জাহিদ-ই-হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকাঃ বাংলাদেশের ফুটবলে কোচ যাওয়ার আসার মিছিলে সবশেষ সংযোজন ছিল কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড। সাফ ও এশিয়ান গেমস চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে নিয়োগ দেয়া এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ ‘বাই বাই’ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবলকে। চুক্তি শেষ হওয়ার দুই মাস আগেই বিদায় জানিয়েছেন এই ইংলিশ বংশোদ্ভূত কোচ।

ওর্ডের নতুন ঠিকানা এখন থাইল্যান্ডে। দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের পেশাদার ক্লাব এয়ার ফোর্স ইউনাইটেড এফসির প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। আজতো অনুশীলনও করিয়েছেন তিনি।

সঙ্গে তার পছন্দের আরেকজনকে নিয়ে গেছেন তিনি! জেসন ব্রাউন। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক কোচ ব্রাউন এখন থাই ক্লাব শিবিরে। চুক্তি সময়ের আগে ব্রাউনও ‘চপাট’ ওর্ডের সঙ্গী হয়ে।

বিজ্ঞাপন

লাওস ম্যাচের পর যখন পুরো দল দেশে ফিরেছে, ফিরেনি শুধু ওর্ড আর ব্রাউন। ওর্ডের অনুপস্থিতিতেই ফুটবল পাড়ায় বাতাসে গুঞ্জন ভেসে আসছিল। সেটাই সত্য হলো। কোচ আর নেই। পদত্যাগ করে চলে গেলেন থাই ক্লাবে। ব্রাউনও একই পথ ধরে একই ক্লাবে পাড়ি জমালেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এপ্রিলের এক তারিখেই বাফুফে বরাবর পদত্যাগ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ওর্ড। সভাপতি কাজী সালাউদ্দীনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। গতকাল (৩ এপ্রিল) ইয়েস কার্ড পেয়েছেন ফেডারেশন থেকে। সমঝোতার মাধ্যমেই নাকি তাকে দেয়া হয়েছে চলে যাওয়ার সম্মতি! জেসন ব্রাউনও একইভাবে থাই ক্লাবে।

বিজ্ঞাপন

গত বছর জুনে নিয়োগ পাওয়ার পরে ওর্ডের নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-১৬ আর অনূর্ধ্ব ১৯ দলের আমুল পরিবর্তন এসেছে। ফাহিম-জাফর ইকবালদের দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন ওর্ড। ট্যাকটিকাল জায়গায়ও বেশ সফল ছিলেন এই কোচ। বয়সভিত্তিক দলগুলোকে গুছিয়ে দিয়ে ধরেছিলেন দেশের সিনিয়র ফুটবলে। ভুটান বিপর্যয়ের পরে লিগ থেকে খেলোয়াড় বের করে তাদের নিয়ে ক্যাম্প করিয়ে ১৭ মাস পর লাওসের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তন করা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে তৈরি করেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ড্র করে এসেছে বাংলাদেশ।

তারপর থেকেই লাপাত্তা অ্যান্ড্রু ওর্ড। জামাল-জাফর-সুফিলরা ফিরলেন ঠিকই। ফিরলেন না শুধু ওর্ডই। লাওস থেকে থাইল্যান্ডে চলে গেলেন তিনি। পদত্যাগের চিঠি পাওয়ার পর এই কোচকেও ধরে রাখার চেষ্টা করেনি বাফুফে। ‘যে যাওয়ার সে যাবে’ অবস্থা! বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানালেন, ‘তিনি পদত্যাগ করেছেন। আমরা তা গ্রহণ করেছি। চাইলে আমরা ঝামেলা করতে পারতাম। কারণ, চুক্তি অনুসারে আরো দুই মাস তিনি কাজ করতে বাধ্য। তবে তিন মাস পর তিনি চলে যেতে চাইলে তো আটকাতে পারতাম না। তাই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি।’

ফেডারেশন থেকে কোনও পাওনা ছিল বলে জানান নাঈম। এবং পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চলে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। নাঈম বলেন, ‘আসলে সে এখানে পরিবারের সদস্য নিয়ে থাকতেন না। তিনি ব্যক্তিগত কারণই দেখিয়েছেন। ভালো সুবিধা না পেলে তো জাতীয় দল ছেড়ে ক্লাব দলে যায়নি’

বিজ্ঞাপন

সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আছে বাংলাদেশের সামনে। আছে এশিয়ান গেমস চ্যালেঞ্জও। এর মাঝেই ফেডারেশন সময় পাচ্ছে আরও পাঁচ-ছয় মাস। এর মধ্যে নতুন কোচ নিয়োগ নিয়ে তোরজোড় শুরু করেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ অভিভাবক। নাঈম জানালেন, ‘ওর্ড আগেভাগে চলে যাওয়ায় আমরা সময় করে নতুন কোচ নিয়োগ দিতে পারবো। তিন মাস পরে তিনি চলে গেলে আমাদের হাতে সময় কম থাকতো।’

ওর্ডের চলে যাওয়ার পর চিন্তার ভাজ বাফুফে কর্মকর্তার। ইতোমধ্যে ফেডারেশনের কাছে ১০-১২ টি সিভিও জমা পড়েছে। সেখান পর্যালোচনা করে একজনকে নিয়োগ পারে ফেডারেশন। চলতি মাসের ১০ তারিখ (মঙ্গলবার) ন্যাশনাল টিমস কমিটির বৈঠক আছে। এখানে নতুন কোচের নিয়োগ নিয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন