April 5, 2018 | 1:43 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বিকেএসপির সবুজের সমারোহে যেন তুমুল কোলাহল। আবাহনীর সমর্থকগোষ্ঠীরা বেশ কয়েকটি বাস নিয়ে চলে এসেছে ঢাকা থেকে, মোটামুটি মুখর করে রাখল পুরো সময়টা। সব মিলে শ’পাঁচেক দর্শক তো ছিলই। তাদের কষ্টটা বৃথা যায়নি, নাসির হোসেন-নাজমুল হোসেন শান্তরা অনেবারই হাততালি আর হর্ষধ্বনির উপলক্ষ এনে দিয়েছেন। আর শেষের ঝড়ে সেই উদযাপনটা আরও বাড়িয়ে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমার্ধেই অনেকটা পথ এগিয়ে গেছে আবাহনী, শুরুতে ব্যাট করে তুলে ফেলেছে ৩৭৪ রান। বাংলাদেশে লিস্ট ‘এ’তে ৩৫০ এর বেশি রান তাড়া করেই কারও জয়ের কীর্তি নেই, জিততে হলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে গড়তে হবে ইতিহাস।
সেজন্য অবশ্য রূপগঞ্জের বোলার-ফিল্ডারদের দায়ও কম নয়। বিকেএসপির মাঠ এমনিতেই বেশ ছোট, একটু ঠিকঠাক লাগলেই বল মাঠ পার হয়ে যায়। সেখানে এক পারভেজ রসুল ছাড়া বাকি বোলাররা আলগা বোলিং হাত খোলার সুযোগ এনে দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। আর একা নাসির হোসেনেরই অন্তত তিনটা ক্যাচ মিস করেছে। শুরুতে একবার রসুলের বলে নাসিরের জোরালো এলবিডব্লুর আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন আম্পায়ার নাদির শাহ। ২৭ রানে নাসিরের ফিরতি ক্যাচটা ধরতে পারেননি নাঈম ইসলাম, ফিফটির আগে আরও একবার মিড অনে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন নাসির। তবে বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন ৬৩ রানে, ক্যাচ দিয়েছিলেন লং অনে। কিন্তু আশিক সেটা ধরতে গিয়ে উলটো ছয় বানিয়ে দিয়েছেন। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে লিস্ট ‘এ’ তে এবারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন নাসির।
অন্য পাশে শান্ত অবশ্য মোটামুটি নিখুঁত খেলেছেন। শান্ত শুরু থেকেই ছিলেন সপ্রতিভ, ফিফটি পেয়েছেন ৪৩ বলে। নাসির অবশ্য শুরুতে বেশ নড়বড়ে ছিলেন, সেটা কাটিয়ে ফিফটি পেয়েছেন ৫৬ বলে। দুজনেই প্রায় কাছাকাছি সময়ে নব্বইয়ে পৌঁছেছেন। আসিফ হাসানের একই ওভারেই দুজনে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। প্রথমে নাসির এক্সটা কাভার দিয়ে চার মেরে করলেন সেঞ্চুরি, মাত্র ৭৯ বলে। ওই ওভারেই শান্ত সেঞ্চুরি পেলেন ৯৭ বলে।
এরপরেই অবশ্য রানের গতি একটু স্লথ হয়ে আসে। তবে শেষের দিকে সেটা আবারও বাড়িয়ে নেন মাশরাফি। উইকেটে নেমে প্রথম বলেই মারলেন ছয়। শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে ছয়, পরে আরও একটি। ৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে, আবাহনীকে পৌঁছে দিয়েছেন রানের পাহাড়ে।
সারাবাংলা/এএম/এমআরপি