বিজ্ঞাপন

রূপগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপা আবাহনীর

April 5, 2018 | 5:07 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।। 

বিজ্ঞাপন

রূপগঞ্জের ইনিংস তখনো অর্ধেকও শেষ হয়নি। তবে বিকেএসপির বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ব্যান্ড পার্টির সুরের কোরাস, আবাহনী সমর্থকেরাও উদ্দাম নৃত্যও জুড়ে দিয়েছেন তার সাথে। জয়ের সুবাসটা তখনই পেতে শুরু করেছে আবাহনী, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ১৯তম শিরোপাটা দেখতে পাচ্ছিল দৃষ্টিসীমায়। ম্যাচ শেষের অনেক আগেই তো একরকম আত্মসমর্পণ করেছে রূপগঞ্জ।

জিতলেই শিরোপা, আবাহনীর সামনে সমীকরণ ছিল সহজ। অন্যদিকে মিরপুরে শেখ জামাল হেরে গেলেও শিরোপা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রথমেই ৩৭৪ করে ফেলায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়, রান রেটেও রূপগঞ্জ হারাতে পারছে না আবাহনীকে। শিরোপার উদযাপনের জন্য তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে পেরেছিলেন আবাহনীর সমর্থকেরা।

৩৭৪ তাড়া করতে নেমে যে শুরু দরকার ছিল, রূপগঞ্জের হয়েছে তার ঠিক উলটো। বলা যায় আসলে দুঃস্বপ্নের মতো। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হয়ে গেছেন আবদুল মজিদ। অভিষেক মিত্রও থাকেননি বেশিক্ষণ, মিরাজের বলে আউট হয়ে গেছেন ১৩ রানে।

বিজ্ঞাপন

রূপগঞ্জের আশার প্রদীপটা এরপর জ্বালিয়ে রেখেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম ও মুশফিকুর রহিম। দুজন তৃতীয় উইকেটে যোগ করলেন ৯১ রান। নাঈমই খেলছিলেন দারুণ, সানজামুলের এক ওভারে টানা তিন বলে তিন ছয়ও মারলেন। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতেই নাসিরের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন ৫৪ বলে ৭০ রান করে। রূপগঞ্জ অন্তত ততক্ষণ রান রেটটা আটের ওপর উঠতে দেয়নি।

কিন্তু এরপরেই সেই দূরত্বটা বাড়তে শুরু করল। মুশফিকের সঙ্গে ক্রিজে এলেন নাঈম ইসলাম, দুজন মিলে আরেকটা জুটি গরলেন ৫৮ রানের। কিন্তু নাসিরের বলে সাইফ হাসানের দারুণ এক ক্যাচে ফিরে গেলেন মুশফিক। তাঁর ৬৬ বলে ৬৭ রানের সঙ্গে প্রায় শেষ রূপগঞ্জের আশাও।

এরপর রূপগঞ্জের ব্যাটসম্যানদের বাকি সময় ছিল শুধু আসা যাওয়ার। আবাহনীর সমর্থকদের উল্লাস করার সুযোগ দিয়ে একে একে আউট হয়ে গেছেন সবাই। শেষ পর্যন্ত ২৮০ রানে অলআউট হয়ে ফেল রূপগঞ্জ, ম্যাচটা হেরে গেল ৯৪ রানে। শেষ উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবাহনী সমর্থকেরা ঢুকে গেলেন মাঠে, জয়ের স্মারক স্টাম্প তুলে নিলেন কেউ কেউ। দুই বছর পর আবারও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পেল আবাহনী।

বিজ্ঞাপন

তার আগে শুরুতে ব্যাট করে রান পাহাড়ে উঠেছিল আবাহনী। ৩৫০ এর বেশি তাড়া করেই বাংলাদেশে লিস্ট এ তে কারও জয়ের রেকর্ড নেই, আবাহনী করেছে ৩৭৪। সেজন্য অবশ্য রূপগঞ্জের বোলার-ফিল্ডারদের দায়ও কম নয়। বিকেএসপির মাঠ এমনিতেই বেশ ছোট, একটু ঠিকঠাক লাগলেই বল মাঠ পার হয়ে যায়। সেখানে এক পারভেজ রসুল ছাড়া বাকি বোলাররা আলগা বোলিং হাত খোলার সুযোগ এনে দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। আর একা নাসির হোসেনেরই অন্তত তিনটা ক্যাচ মিস করেছে। শুরুতে একবার রসুলের বলে নাসিরের জোরালো এলবিডব্লুর আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন আম্পায়ার নাদির শাহ। ২৭ রানে নাসিরের ফিরতি ক্যাচটা ধরতে পারেননি নাঈম ইসলাম, ফিফটির আগে আরও একবার মিড অনে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন নাসির। তবে বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন ৬৩ রানে, ক্যাচ দিয়েছিলেন লং অনে। কিন্তু আশিক সেটা ধরতে গিয়ে উলটো ছয় বানিয়ে দিয়েছেন। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে লিস্ট এ তে এবারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন নাসির।

অন্য পাশে শান্ত অবশ্য মোটামুটি নিখুঁত খেলেছেন। শান্ত শুরু থেকেই ছিলেন সপ্রতিভ, ফিফটি পেয়েছেন ৪৩ বলে। নাসির অবশ্য শুরুতে বেশ নড়বড়ে ছিলেন, সেটা কাটিয়ে ফিফটি পেয়েছেন ৫৬ বলে। দুজনেই প্রায় কাছাকাছি সময়ে নব্বইয়ে পৌঁছেছেন। আসিফ হাসানের একই ওভারেই দুজনে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। প্রথমে নাসির এক্সটা কাভার দিয়ে চার মেরে করলেন সেঞ্চুরি, মাত্র ৭৯ বলে। ওই ওভারেই শান্ত সেঞ্চুরি পেলেন ৯৭ বলে।

এরপরেই অবশ্য রানের গতি একটু স্লথ হয়ে আসে। তবে শেষের দিকে সেট আবারও বাড়িয়ে নেন মাশরাফি। উইকেটে নেমে প্রথম বলেই মারলেন ছয়। শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে ছয়, পরে আরও একটি। ৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে,আবাহনীকে পৌঁছে দিয়েছেন রানের পাহাড়ে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়ে গেছে জয়ের জন্য যথেষ্টরও বেশি।

 

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এএম/ এসএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
‘আইন প্রয়োগ হবে সন্ত্রাসীদের ওপর, শিক্ষার্থীদের ওপর নয়’৫ ঘণ্টা পর শিক্ষকদের জিম্মায় ১২ শিক্ষার্থীর মুক্তিকুবি শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা, মানববন্ধন করলেন ৬ জনইন্টারনেট বন্ধের ধাক্কায় জুলাইয়ে রেমিট্যান্স ১৯০ কোটি ডলারশিক্ষার্থী আটক হলে ‘উদ্ধার করবে’ চবি প্রশাসনআবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় সাক্ষ্য নেবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনশেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন আইসিসি প্রসিকিউটরেরজামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করায় ইনু-শিরীনের সন্তোষ প্রকাশপদ্মা সেতুর সামনে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ২ জনের মৃত্যুকোটা আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রকাশ ও দায়ীদের বিচার দাবি সুজনের সব খবর...
বিজ্ঞাপন