বিজ্ঞাপন

সরকারি কর্মচারী আইনের কয়েকটি বিধান পুনর্বিবেচনার দাবি টিআইবির

December 13, 2017 | 7:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

‘সরকারি কর্মচারী আইন- ২০১৭’ এর খসড়া আইনের বেশকিছু বিধান পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সাথে খসড়াটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত সংগ্রহের জন্য ওয়েবসাইটে দেয়ারও আহবান জানিয়েছে। বুধবার টিআইবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘সরকারি কর্মচারী আইন- ২০১৭’ এর খসড়া প্রণীত হয়েছে।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘সরকারি কর্মচারী আইন- ২০১৭’ এর খসড়া প্রণয়ন একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ও সময়োপযোগী উদ্যোগ। তবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উন্নততর পেশাদারিত্ব, মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক মূল্যায়ন করতে হবে। জনপ্রশাসন যেন দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে, ভয়-ভীতি ও চাপের ঊর্ধ্বে থেকে সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে। সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে খসড়া আইনটির বেশ কিছু বিধান পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি কয়েকটি বিধান উল্লেখ করে বলেন, খসড়া আইনে, রাষ্ট্রপতির বিশেষ এখতিয়ারে চারটি সর্বোচ্চ স্তরে ১০ শতাংশ কর্মচারী প্রেষণে বা চুক্তিতে নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। এটি জনপ্রশাসনে দলীয়করণ ও পেশাদারিত্ব খর্ব করার ঝুঁকি বৃদ্ধি করবে।

ড. জামান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি নির্ধারণ ব্যতিরেকে সন্তোষজনক পদোন্নতির সুযোগ আইনে সংযুক্ত হলে জনপ্রশাসনে মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়ন হবে। এতে পেশাগত উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে। চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হলে সরকার যে কোনো কর্মচারীকে কোন প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়া চাকরি থেকে অবসর প্রদান করতে পারবে। এই ধরনের বিধান খসড়ায় রাখা হয়েছে তা ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া খসড়া আইনটির শিরোনামে প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে সরকারি শব্দটির ব্যবহার সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থি।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ধারা (৮) অনুসারে ‘সরকারের কর্মচারীগণের উপর সরকারের’ নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্খা জনপ্রশাসনে রাজনৈতিক বিভক্তির সুযোগ সৃষ্টি করবে। একইসঙ্গে বস্তুনিষ্টভাবে দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনাকে সংকুচিত করবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ (১) ধারা বলবৎ রয়েছে। অথচ খসড়া আইনের (৪৬) ধারায় দায়িত্ব পালনজনিত কারনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হলে চার্জশিট দেওয়ার আগে গ্রেফতার করতে সরকারের অনুমতি লাগবে। এই ধরনের বৈষম্যমূলক ও সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থি।’

এছাড়া, খসড়া আইনের ৪৭ (৩) ধারায় রাষ্ট্রপতি শাস্তি মওকুফ করলে চাকরিতে পুনর্বহালের যে বিধান রাখা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।

সারাবাংলা/ জিএস/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন