বিজ্ঞাপন

জবি ‘এ’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, যানজটে ভোগান্তি

October 17, 2021 | 6:57 pm

জবি করেসপন্ডেন্ট

জবি: গুচ্ছভুক্ত দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে রোববার অফিস-আদালত খোলা থাকায় সড়কে তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বিজ্ঞাপন

‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২৬টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটি ২০২০-২০২১ এর যুগ্ম আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন।

এসময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ), প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরসহ, জবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

পরীক্ষা দুপুর ১২টার সময়ে শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯টার দিকে জবি ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন। ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি গেট খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।

যানজটের কারণে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর ২০-২৫ পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছান। তবে দেরীতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছালেও পরীক্ষা দিতে কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পুরান ঢাকা একটি ব্যস্ত স্থান। এখানে যানজট হওয়াটা স্বাভাবিক। কিছু শিক্ষার্থী যানজটে আটকা পড়ে দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছালে তাদেরও পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘এবার প্রথম গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অনেক কষ্ট, দুর্দশা লাঘব হয়েছে। তবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে শতভাগ দুর্দশা লাঘব হবে।’

কেন্দ্র বণ্টনে অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন পাঁচটি কেন্দ্র চয়েজ দিতে বলা হয়েছিল। মেরিটের কারণে সবাইকে তো আর সেসব কেন্দ্রে দেওয়া সম্ভব না। মেরিট কম হওয়ায় তাদের অন্য কেন্দ্রে দিতে হয়েছে। কম্পিউটার অটোমেটিকলি তাদের কেন্দ্র সিলেক্ট করেছে। যেহেতু প্রথমবার আমরা এভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি সেহেতু কিছু সমস্যা থাকবেই। আমরা শিখছি, শিক্ষার্থীরাও এবার শিখছে। পরবর্তীতে এসব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।’

সারাবাংলা/এএন/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন