বিজ্ঞাপন

লাইনে দাঁড়াতে বলে দালালের চম্পট, খোয়া গেল বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন

April 5, 2018 | 9:57 pm

।। রাজনীন ফারজানা, নিউজরুম এডিটর ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: যশোর থেকে এক সপ্তাহ আগে চাচার সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন তাসলিমা আক্তার সাথী (২৫)। উদ্দেশ্য ওমানে যাবেন, তাই রাজধানীর বনানীর সৈনিক ক্লাব মোড়ে আল-খালিজ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে যান সাথী। সেখানেই এক ব্যক্তি যেচে আলাপ করে তাদের সঙ্গে। ওমান যাওয়ার কথা শুনে সাথীদের সবরকম সাহায্য করারও আশ্বাসও দেন তিনি। পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন লোকটি।

তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে লোকটির নামটাও জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন বোধ করেননি তারা। পাসপোর্ট করা বাবদ প্রথম দফায় নেন ১৩ হাজার ৫ শ টাকা, পরে আরও ২৫ হাজার।

বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) ছিল পাসপোর্টের কাগজপত্র জমা দেওয়ার দিন। সাথীকে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে এসেছিলেন সেই লোকটি। পাসপোর্ট অফিসের চারতলায় ছবি তোলার লাইনে দাঁড় করিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। ছবি তোলার নির্ধারিত ঘরে যাওয়ার পর ওই লোকটিকে ফোন করে সাথী তার নম্বর বন্ধ পান। দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাথী।

বিজ্ঞাপন

পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা এবং সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে সাথী জানান, অচেনা এক লোক বিদেশে যাওয়ার ব্যপারে সাহায্য করতে চাওয়ায় তাকে বিশ্বাস করে প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা দিয়েছে তার পরিবার। ঢাকায় কিছুই চেনেন না তিনি। পাসপোর্ট অফিসেও তার সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্য আসেননি। ঢাকায় এসেছিলেন চাচার সঙ্গে, তিনি ফিরে গেছেন যশোরের চৌগাছায় তার বাড়িতে। ঢাকায় শুধু তার ভাই বসবাস করেন।

তিনি বলেন, সর্বস্ব হারিয়ে এখন কী করবেন, কোথায় যাবেন- কিছুই বুঝতে পারছেন না। ছবি তোলার কক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কাগজপত্র দেখতে চাইলে সাথী ঠিক মতো বলতে না পারেননি তার সঙ্গে কী কী কাগজ আছে। সাথী তাদের জানান, তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে এসেছেন। ওই লোকটিই সব বলতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারাও ওই লোকটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা সাথীকে অপেক্ষা করতে বলেন। তারা বলেন, ওই দালালকে পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন