ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন কাজী হায়াৎ ও মাজহারুল ইসলাম

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট

প্রতি বছরের মতো এবারও ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২১ ঘোষণা হয়েছে। রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে কাজী হায়াৎ এবং চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’ এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রেসিডেন্ট’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। আগামী ২৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।

ফজলুল হক স্মৃতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম জানালেন, এ পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রতিটি ২৫ হাজার টাকা, সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট। প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে ২০০৪ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন বিশিষ্ট কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন।

১৯৩০ সালের ২৬ মে বগুড়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ফজলুল হক এবং ১৯৯০ সালের ২৬ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন এ দেশের প্রথম সিনেমা বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’র সম্পাদক ও প্রকাশক। ১৯৫০ সালে বগুড়া থেকে পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশ হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকাশনা ঢাকায় স্থানান্তিত হয়। ষাটের দশকের শুরুতে ফজলুল হক ‘প্রেসিডেন্ট’ নামে একটি শিশুতোষ সিনেমা তৈরি করেছিলেন যা তৎকালীন সময়ে পুরস্কৃতও হয়েছিল। ‘প্রেসিডেন্ট’ ছবিতে শিশুনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলে শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে সেই সময়ে পুরস্কৃতও হয়েছিলেন। ‘প্রেসিডেন্ট’ ছবিটি যখন নির্মিত হয় তখন ঢাকায় প্রযোজিত সিনেমার সংখ্যা মাত্র কয়েকটি। পরে তিনি ‘উত্তরণ’ নামে আরো একটি সিনেমা পরিচালনা করেন।

ফজলুল হকের সহধর্মিণী বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। জ্যেষ্ঠপুত্র ফরিদুর রেজা সাগর বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি., চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্র নির্মাণের একেবারে সূচনা পর্বে ফজলুল হকের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ‘ফজলুল হক স্মৃতি কমিটি’ প্রতি বছর একজন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সেরা চলচ্চিত্রের পরিচালককে পুরস্কৃত করে আসছে।

ইতিমধ্যে ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’ পেয়েছেন- সাইদুল আনাম টুটুল এবং ফজল শাহাবুদ্দিন, চাষী নজরুল ইসলাম ও আহমদ জামান চৌধুরী, হুমায়ূন আহমেদ ও রফিকুজ্জামান, সুভাষ দত্ত ও হীরেন দে, গোলাম রাব্বানী বিপ্লব ও আবদুর রহমান, আমজাদ হোসেন ও সৈয়দ শামসুল হক, মোরশেদুল ইসলাম ও চিন্ময় মুৎসুদ্দী, ই আর খান ও অনুপম হায়াৎ, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও গোলাম সারোয়ার, রাজ্জাক ও রেজানুর রহমান, সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী ও আরেফিন বাদল, মাসুদ পারভেজ ও শহীদুল হক খান, আজিজুর রহমান ও মোস্তফা জব্বার, আবদুল লতিফ বাচ্চু ও নরেশ ভুঁইয়া, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও শফিউজ্জামান খান লোদী, কোহিনূর আখতার সুচন্দা ও রাফি হোসেন এবং আলমগীর ও দীপেন।

সারাবাংলা/এএসজি