বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি পবার

April 6, 2018 | 5:56 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আগামী বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। এ সময় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

শুক্রবার (৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কলাবাগানের কার্যালয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাদের আলোচনায় এসব দাবি উঠে আসে।

৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা: সবার জন্য, সর্বত্র’।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ও পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্থাপন করেই সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা; পানি, বায়ু, মাটি, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা; জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।’

সোবহান বলেন, ‘খাদ্য একটি নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করছে। খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতায় নজর দেয়া হলেও বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। কৃষিতে নির্বিচারে কীটনাশক ও সার ব্যবহারের ফলে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। আর বাংলাদেশে বছরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৯১ হাজার ৩৩৯ জন মারা যাচ্ছেন।’

পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, প্রতি অর্থবছরে জনপ্রতি স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ মাত্র ২৭ ডলার, সঠিকভাবে সেবা নিশ্চিত করতে ৮৫ থেকে ১২২ ডলার বরাদ্দ থাকা দরকার। কিন্তু এই স্বাস্থ্য বাজেটের ৭০ ভাগ অবকাঠামোগত ও বেতন-ভাতা দিতে ব্যয় হচ্ছে, বাকি ৩০ ভাগ চিকিৎসায় ব্যয় হয়। তাই বাজেটে জিডিপির ৩ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখার দাবি রাখছি। বর্তমানে যা এক শতাংশেরও কম।

বিজ্ঞাপন

শিশুর হৃদরোগের চিকিৎসার নূন্যতম ব্যবস্থা দেশে নেই। ১০ থেকে ১৫ বছর পরে দেশে হৃদরোগ মহামারি আকার ধারণ করবে। বর্তমানে ডায়াবেটিসের হার ১৭ শতাংশ। ৪৫ ভাগ মানুষ আনুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নেয়, ৫৫ ভাগ ফার্মেসি বা ঝাড় ফুঁক করে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে শুধুমাত্র চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতি বছর সাধারণ মানুষের ৪ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। এরপরেও প্রতিবছর স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ কমছে বলেন ডা. লেলিন।

অনুষ্ঠানে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন