বিজ্ঞাপন

ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন

October 28, 2021 | 8:41 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের অর্ধেকেরও বেশি অর্থ ঋণ দিচ্ছে চীন। প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রায় চার বছর পরে চীনের সঙ্গে এই ঋণচুক্তি সই হয়েছে। চুক্তির আওতায় চীনা এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশকে ৯ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ঋণ দেবে চীনা পলিসি প্রিফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের (পিবিসি) আওতায়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঋণচুক্তির তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও চীনা এক্সিম ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝাং তিয়ানকিন এই ঋণচুক্তিতে সই করেছেন।

রাজধানীর যানজট কমাতে ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর প্রায় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। চীন ৯ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা, তথা প্রাক্কলিত ব্যয়ের প্রায় ৫৬ শতাংশ ঋণ দেওয়ায় প্রকল্পের বাকি ৭ হাজার ৪২৯ কোটি খরচ হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তিতে সেই করা ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব শহরিয়ার কাদের সিদ্দীকি সারাবাংলাকে বলেন, চীন চুক্তির কাগজপত্র পাঠিয়েছিল। আমরা গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সেগুলোতে সই করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) সেটির জিও জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইআরডি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিবিসি ঋণচুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের বার্ষিক সুদের হার ২ শতাংশ, ৫ বছর গ্রেস (রেয়াতকাল) পিরিয়ডসহ ২০ বছর মেয়াদি শর্তে চীনা এক্সিম ব্যাংকের এই ঋণের অর্থ দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই এক্সপ্রেসওয়ে এটি এশিয়ান হাইওয়ের অ্যালাইনমেন্টের মধ্যে অবস্থিত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী আশুলিয়া অংশে যানজট কমে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার পর ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল চন্দ্রা করিডোরেও যানজট কমবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দর ইন্টারসেকশন থেকে শুরু হয়ে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল দিয়ে ইপিজেড পর্যন্ত অংশে নির্মাণ করা হবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। মূল উড়ালসড়কটির দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য তৈরি করা হবে ১৬টি র‌্যাম্প বা সংযোগ সড়ক। র‌্যাম্পগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে উড়ালসড়ক ছাড়াও ১৪ কিলোমিটারের বেশি সড়ক নির্মাণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি নবীনগর এলাকায় নির্মাণ করা হবে এক দশমিক ৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার। এছাড়াও দুই দশমিক ৭২ কিলোমিটার সেতু, ৫০০ মিটার ওভারপাস, ইউটিলিটির জন্য ১৮ কিলোমিটার ড্রেনেজ ও ডাক্ট এবং পাঁচটি টোল পাজা নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন