বিজ্ঞাপন

‘আগামী নির্বাচন হতে হবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে’

October 29, 2021 | 10:10 pm

আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

জাতীয় নেতা হিসেবে যারা গণমানুষের কাছে পরিচিত, তেমন সুনির্দিষ্ট কোনো নেতার আদর্শ অনুসরণে রাজি নয় সদ্য আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলছেন, কোনো নেতাকে অন্ধভাবে অনুসরণ করার বদলে যে আদর্শ ও কর্মসূচি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে, নিজেদের মেধা কাজে লাগিয়ে সেটিকেই তারা নিজেদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে চান।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনমুখী একটি দল হিসেবেও নিজেদের পরিচয় দিতে চান রেজা কিবরিয়া। সেক্ষেত্রে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চান তারা। তবে দলীয় সরকারের অধীনে তারা নির্বাচন করতে রাজি নন। এ ক্ষেত্রে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা জাতীয় সরকারও চাইছে না গণঅধিকার পরিষদ। নবগঠিত দলটির আহ্বায়ক বলছেন, তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি চান জাতিসংঘের অধীনে ও তত্ত্বাবধানে।

নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর সারাবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ড. রেজা কিবরিয়া এসব কথা বলেন। দল গঠন, দলের আদর্শ ও কৌশল, কর্মপরিকল্পনাসহ নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে আলাপচারিতায় খোলামেলা কথা বলেন তিনি। সমকালীন রাজনীতি, দল নিয়ে পরিকল্পনা, নিজের রাজনৈতিক অবস্থান— এসব বিষয়ও উঠে আসে তার কথায়।

গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারে নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদ। ‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার‘ স্লোগানে যাত্রা করা এই দলের আহ্বায়ক হিসেবে ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব হিসেবে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নাম ঘোষণা করা হয়। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ— এই চারটি বিষয়কে দলের আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করেন নুর।

বিজ্ঞাপন

নতুন দল ঘোষণার পর ড. রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে আলাপে প্রশ্ন রাখা হয়— শেরে বাংলা ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা জিয়াউর রহমানের মতো কোনো নেতাকে তারা নিজেদের আদর্শ বলে মনে করেন কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া জানান, জাতীয় এসব নেতাসহ কোনো রাজনৈতিক নেতাকেই তারা নিজেদের আদর্শ মানতে নারাজ তারা। বরং তারা নিজেদের মেধা দিয়ে জাতির জন্য করণীয় নির্ধারণ করতে চান, নিজেদের আদর্শ নিজেরাই নির্ধারণ করতে চান।

আরও পড়ুন- নুরের নতুন দল ‘গণঅধিকার পরিষদ’, আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া

রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা কোনো বিশেষ নেতার আদর্শ মানি না। আমরা নিজেরা দেশের জন্য যা চিন্তা করেছি, সেটিই করব। যে আদর্শে দেশ ও মানুষের স্বার্থ রক্ষা হবে, সেটিই হবে আমাদের আদর্শ। আমরা দেখেছি— গত ৫০ বছর যারা রাজনীতি করেছেন, দেশ পরিচালনা করেছেন এবং করছেন, তারা অনেকেই অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই ভুল আমরা করতে চাই না। আমাদের দলের সব সদস্য মেধাবী ও শিক্ষিত। তারা নিজেরাই সম্মিলিতভাবে চিন্তা-ভাবনা করে ঠিক করবে কী পদক্ষেপ নিলে দেশ ও জনগণের কল্যাণ হবে। অন্ধভাবে কোনো নেতাকে আমরা অনুসরণ করব না। আমরা কোনো নেতাকে মানতে চাই না।

বিজ্ঞাপন

দলীয় আত্মপ্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদ তাদের ২১ দফা রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা তুলে ধরে। এই দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে রেজা কিবরিয়া বলেন, দলের সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করা হবে। প্রতিটি জেলার শিক্ষিত বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ সব স্তরের জনগণ আমাদের দলে যোগ দিতে আগ্রহী। আমরা তাদের দলে নেব। এরপর প্রতিটি জেলায় আমরা সফর করব, আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণের সামনে তুলে ধরব।

তিনি বলেন, এর আগে দলের নিবন্ধনের কাজটি করা হবে। নিবন্ধনের জন্য যেসব শর্ত আছে, তা পূরণ করে শিগগিরই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে। আমাদের অনেক জেলায় কমিটি করা হয়েছে। শুধু জেলা নয়, উপজেলা এবং এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিও গঠন হয়েছে। কিছু জেলায় কার্যক্রম বাকি আছে। সেগুলোও শিগগিরই শেষ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর দুই বছর বাকি রয়েছে। এই দুই বছরের মধ্যে দল গুছিয়ে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া কতটা সম্ভব? গণঅধিকার পরিষদে ৩০০ আসনে দেওয়ার মতো যোগ্য প্রার্থী রয়েছে কি?

এমন প্রশ্নের উত্তরে রেজা কিবরিয়া বলেন, দলের মধ্যে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছে। অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি আছেন যারা আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে যেতে চান না। তারা এখন আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। এসব ব্যক্তিরা সর্বজন গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া আমাদের দলে এমন অনেক ব্যক্তিই রয়েছেন যারা এর আগে অন্য রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করে এসেছেন। কেউ কেউ অনেক বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় পদে কর্মরত ছিলেন। তারা তথাকথিত বড় দলগুলোর রাজনীতি পছন্দ করেন না বলে রাজনীতিতে সক্রিয় নন। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে আগ্রহী। এর বাইরে আমাদের বড় শক্তি যুবশক্তি। সত্তরের নির্বাচনে যেমন যুবশক্তির মধ্য থেকেই প্রার্থীরা বেশি ছিলেন, আমাদের দল থেকেও আগামী নির্বাচনে সেরকম চিত্রই দেখতে পাওয়া যাবে। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের বাকি আরও আড়াই বছর। আমরা এখন থেকেই নির্বাচনভিত্তিক কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, আমরা সফল হব।

বিজ্ঞাপন

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে গণঅধিকার পরিষদ কী ভাবছে— জানতে চাইলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না— তা আওয়ামী লীগই প্রমাণ করেছে। তাই আগামী নির্বাচন জাতিসংঘের অধীনে করার দাবি করছি। যেসব দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, সেসব দেশে জাতিসংঘ অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন করে দিচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশেরও নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, সে কারণে জাতিসংঘের অধীনে তাদের তত্ত্বাবধানে আগামী নির্বাচন করার দাবি জানাচ্ছি। গত নির্বাচনে আমার দেশের সেনাবাহিনী পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা নিষ্ক্রিয় ছিল। তাদের ভূমিকা ছিল পুতুলের মতো। তাই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনে নির্বাচন পরিচালনা করলে সেটি সুষ্ঠু হবে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

নতুন রাজনৈতিক এই দলের সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ছাত্র অধিকার পরিষদের হয়ে সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ছাত্র ও তরুণদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। পরবর্তী সময়ে জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতেও তিনি সক্রিয় থেকেছেন। নুরুল হক নুরকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, নুরের মধ্যে সাহসিকতা, মেধা ও ডায়নামিক নেতৃত্বের সব গুণাবলিই রয়েছে। ওর মাঝে রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠার বৈশিষ্ট্য বা আচরণ লক্ষ করা যায়। সে অত্যন্ত জনপ্রিয়, সে আমাদের দলের জন্য, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য একজন রাইট পারসন।

গণঅধিকার পরিষদ গড়ে ওঠার পেছনে সরকারের সহায়তা এবং বিশেষ একটি সংস্থার তত্ত্বাবধান বা পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে— বিভিন্ন মহলে এমন গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রেজা কিবরিয়ার জবাব— ১৯৪৭ সালের পরে মুসলিম লীগ যখন গঠন করা হয়, তখন আইয়ুব খানপন্থি মহলে এরকম গুঞ্জন উঠেছিল যে গদি টিকিয়ে রাখার জন্য আইয়ুব খানই এ দলটি গঠনে সহায়তা করেছিল। এ রকম গুঞ্জন থাকবেই। সময়ই বলে দেবে গণঅধিকার পরিষদ কী!

দীর্ঘ দিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকা রেজা কিবরিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগ দেন। ওই নির্বাচনে ড. কামালের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচনও করেন। ২০১৯ সালের ৫ মে তাকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। পরে দলটির মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘোষণা আসে। এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি দলটি থেকে পদত্যাগ করেন। আট মাসের মাথায়ই নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হলেন তিনি।

গণফোরাম কেন ছেড়েছিলেন?— সারাবাংলার এ প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, গণফোরাম কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে পড়ে না। এটি নির্বাচনমুখী দল নয়। দলটি বিদেশি গুপ্তচরভিত্তিক দল। দেশি গোয়েন্দা সংস্থা ও বিদেশি গুপ্তচরের কাছে তারা দায়বদ্ধ। দলটিতে অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনা দেশি গোয়েন্দা সংস্থা ও বিদেশি গুপ্তচরদের সঙ্গে শেয়ার করা হতো। এছাড়া আরও অনেক ঘটনাই রয়েছে। এসব কারণে গণফোরাম থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।

রেজা কিবরিয়ার বাবা শাহ এ এম এস কিবরিয়া ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুসারী। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এক মেয়াদে আওয়ামী লীগের সফল অর্থমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। বাবার আদর্শের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে কেন সরে গেলেন রেজা কিবরিয়া?

জবাবে তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ঠিক সেভাবে মূল্যায়ন করব না। কারণ তার শাসনামলের শেষের দিকে আদর্শ ও কার্যক্রম নিয়ে দ্বিমত আছে। আমরা বাকশালপন্থি নই। অন্যদিকে বাকশালন্থিরা এখন ক্ষমতায়। দেশ গড়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুজিবনগর সরকারের স্টেটমেন্ট আমাদের পছন্দের। তবে সেটার মতো করে আমরা চলব না। কারণ স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শ থেকে সবাই সরে গেছে।

তিনি বলেন, দেশে আজ বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই। কার কারণে আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র হারিয়েছি, সেটি চিন্তা করা দরকার। আমার বাবা ১৯৯৬ সালে যে আওয়ামী লীগ করেছেন, যে আদর্শ নিয়ে চলেছেন, আওয়ামী লীগের সেই আদর্শ আজ নেই। ওই সময়ের আওয়ামী লীগ আর আজকের আওয়ামী লীগের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমার বাবা বক্তব্য দিতেন গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য। আজ দেশে গণতন্ত্র নেই, জনগণের ভোটাধিকার নেই। রাতের বেলায় ভোট হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়েছেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে কষ্ট পেতেন। কারণ এখন আওয়ামী লীগ এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে যে মানুষজন রাস্তাঘাটে, গ্রাম-গঞ্জে, পাড়ায়-মহল্লায় আওয়ামী লীগকে গালি দেয়। শুধু জীবনের মায়ায় তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছে না। তবে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আমার বিশ্বাস— বেগম খালেদা জিয়া (বিএনপি চেয়ারপারসন) সুস্থ থাকলে এতদিনে জনগণ মাঠে নেমে পড়ত। আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে এত অরাজকতা-দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি কার্যক্রম করতে পারত না।

গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি কতটা জনসম্পৃক্ত হবে, গণমানুষের কতটা কাছে এই রাজনৈতিক দলটি নিজেদের নিয়ে যেতে পারবে— সারাবাংলার এই প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বললেন, জনমানুষের সমর্থন নিয়েই তারা দলের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের তরুণ ও যুবকরাই তাদের শক্তি। তাদের জন্যই রাজনীতি করবেন বলে জনগণের আকুণ্ঠ সমর্থন পাবেন— এমনটিই বিশ্বাস রেজা কিবরিয়ার।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন