বিজ্ঞাপন

‘হজরত মুহম্মদ (সা.) ছাড়া অনুসরণ করার মতো আদর্শিক কেউ নেই’

November 1, 2021 | 10:59 pm

এক সপ্তাহ হলো আত্মপ্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া দলটির আহ্বায়ক। তবে এই দলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সংগঠনের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। বিশেষ করে সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ছাত্র ও তরুণদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।

বিজ্ঞাপন

গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারে নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দলটির স্লোগান ‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার‘। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ— এই চারটি বিষয়কে দলের আদর্শ হিসেবে ঘোষণা করেন নুর। পাশাপাশি জানানো হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে দলটি। নতুন আত্মপ্রকাশ করা এই দলের রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মকৌশল, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে সারাবাংলার সঙ্গে কথা হয় দলের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট রাহাতুল ইসলাম রাফি

সারাবাংলা: নতুন যাত্রায় গণঅধিকার পরিষদের পরিকল্পনা কী?

নুরুল হক নুর: স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যে এখনো বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি গড়ে উঠেনি— এই দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি পরিবর্তন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল— সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার— এর কোনোটিই ৫০ বছরে অর্জন করা যায়নি। সেক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের এই মূলমন্ত্র বাস্তবায়ন করা আমাদের লক্ষ্য। তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় থাকেন, তারাই ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ করেন। এমনকি ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয়গুলোও বড় বড় দলগুলো একেকভাবে স্মরণ করে। ৩০ লাখ শহিদের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাও একেক দল একেকভাবে স্মরণ করে। ইতিহাস ও জাতীয় নেতাদের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলাও তাই আমাদের লক্ষ্য।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক জাতীয় নেতাই রয়েছেন। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদ কাকে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করবে?

নুর: কোনো মানুষের আদর্শ অন্ধভাবে অনুসরণ করা যায় না। এছাড়া আমি মনে করি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্য কাউকে অনুসরণ করার মতো কোনো আদর্শবান ব্যক্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। তবে বাস্তব জায়গা থেকে অনেক মানুষের ভালো কাজকে আদর্শ হিসেবে আমরা গ্রহণ করি। আমরা এখন অধিকারবঞ্চিত। অধিকার আদায়ে অহিংস পথের কথা ভাবছি এবং ত্যাগের কথা বল। এ ক্ষেত্রে আমরা নেলসন ম্যান্ডেলার সংগ্রাম ও মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে ভূমিকা রেখেছেন, যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন— এই জায়গাগুলোকে আমরা আদর্শ হিসেবে নিতে পারি। এছাড়া আরও যারা জাতীয় নেতা ছিলেন, যেমন— সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী কিংবা জিয়াউর রহমান— এই ধরনের কীর্তিমান ব্যক্তিদের ভালো কাজগুলোকে আমরা আদর্শ হিসেবে নিতে পারি। কিন্তু এককভাবে কোনো ব্যক্তিকে অন্ধভাবে আদর্শ হিসেবে গ্রহণের ক্ষেত্রে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কেই ধরে নিচ্ছি।

আরও পড়ুন- ‘আগামী নির্বাচন হতে হবে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: মাঠের রাজনীতিতে বিএনপি এখন অনেকটাই কোণঠাসা। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হলেও দলটিকে ‘সরকারের অনুগত’ বলে অভিহিত করে থাকেন অনেকেই। বলা যায়, আওয়ামী লীগের সামনে জাতীয় রাজনীতিতে এখন বিরোধী প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। অনেকেই বলে থাকেন, এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী দল হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে গণঅধিকার পরিষদের পেছনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে কী বলবেন?

নুর: আওয়ামী লীগ আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা করলে তো আমরা রাস্তাঘাটে কাজ করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হতাম না। আমার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা আছে। দলের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য মামলায় আমাদের জড়িয়েছে। আমরা নতুন দল ঘোষণা করেছি। এটি দলের জন্য একটি ইতিহাস। সেই ইতিহাস আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছি। বাইরে একটি অডিটোরিয়ামে আমরা অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলাম, সেই অনুমতি কিন্তু আমাদের দেওয়া হয়নি। বরং দল ঘোষণার দিনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুর্বৃত্তদের একটি ভুঁইফোড় সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চকে বাঁশ-লাঠিসোটা হাতে আমাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা করলে তো এসব কাজ করত না! তাই আওয়ামী পৃষ্ঠপোষকতার ধারণাটি ভুল।

বর্তমানে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়। আমরা ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। জাতীয় স্বার্থে অনেক দাবি নিয়েও আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ হয়েছে, হামলা হয়েছে। তারপরও আমরা রাজপথে দাঁড়িয়েছি। এ কারণে দেশের মানুষের মধ্যে আমাদের একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। তাই অনেকেই এটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা, বিশ্লেষণ করছেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই— বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট থেকে উত্তরণে আমরা আমাদের কর্মকৌশল-কার্যক্রম ঠিক করি। সেটি কোনো দলের সঙ্গে মিলে যেতে পারে আবার বিপরীতও হতে পারে। তার মানে এই নয় যে আমরা ওই দলের পক্ষে বা বিপক্ষে। আমরা আমাদের মতো স্বতন্ত্র রাজনৈতিক আদর্শ-কার্যক্রম নিয়েই চলব।

সারাবাংলা: আপনাদের দল গঠনের পেছনে একটি গোয়েন্দা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

বিজ্ঞাপন

নুর: দেশে কোনো স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকার থাকলে তারা জনগণকে বিভক্ত করে রাখে। ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও বিপক্ষের শক্তি বলে এই কাজটি আওয়ামী লীগ করে আসছে। এখনো তারা রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য এইগুলোকে ইস্যু করছে। মূলত ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভেতরেও এজেন্সির মাধ্যমে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করে। এখন আমরা যেহেতু সম্ভাবনাময় শক্তি, আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিতর্কিত করার জন্য এই ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।

আমরা জনগণকে কখনো বলি না যে আমাদের দল করুন, ক্ষমতায় আনুন। আমরা যেটি বলি— দেশের জন্য যে দল কাজ করবে তাকে ক্ষমতায় আনুন। সেটি আওয়ামী লীগ হলে তাদের ক্ষমতায় আনুন, বিএনপি হলে তাদের ফিরিয়ে আনুন। আর যদি মনে হয় যে আমরা ভালো কাজ করতে চাচ্ছি, তাহলে আমাদেরই ক্ষমতায় আনুন।

সারাবাংলা: আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রার্থী হিসেবে কাদের টার্গেট করছেন? আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পড়া, বিএনপিতে মূল্যায়ন না পাওয়া কিংবা জাতীয় পার্টির নিষ্ক্রিয় নেতাদেরই কি মনোনয়ন দিতে চান?

নুর: দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে সৎ ও ব্যক্তিত্ববান মানুষের জন্য রাজনীতি করা কঠিন। তারা রাজনীতিকে এমন একটি সংকীর্ণ জায়গায় নিয়ে এসেছে, যেখানে পেশীশক্তি থাকলে কিংবা যোগ্যতা না থাকলেও টাকার বিনিময়ে অনেকেই এই দলগুলোর নেতৃত্বের আসনে বসে আছে। এর বিপরীতে আমরা মূলত সমাজে গ্রহণযোগ্য এবং মেধাবী ও সৎ মানুষগুলোকে খুঁজছি, যারা রাজনীতিকে জনসেবা মনে করে করবেন। আমার বিশ্বাস, এমন মানুষ আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে এখনো আছে। আমরা একটি নতুন দল করেছি। এখন এই দলের জন্য কোনো মানুষ আকাশ থেকেও পড়বে না, আবার মাটি ফেটেও উঠবে না। বর্তমানে যারা আছেন, তাদের দিয়েই তো রাজনীতি। আমরা ছিলাম না, তারা অন্য দল করেছেন। এখন আমরা এসেছি, আমাদের নীতি ভালো মনে হলে তাদের কেউ এলে যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে তাদের নিয়েই আমরা রাজনীতি করব।

আরও পড়ুন- নুরের নতুন দল ‘গণঅধিকার পরিষদ’, আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া

সারাবাংলা: নির্বাচন করতে হলে প্রথমে নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। এর জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। অন্তত একশটি থানায় কমিটি ও অফিস এবং প্রতিটি কমিটির অন্তত দুইশ সমর্থকের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার মতো শর্ত রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণঅধিকার পরিষদ এসব শর্ত পূরণ করতে পারবে কি?

নুর: আমরা এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। কিন্তু চেষ্টা করছি। যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো পূর্ণ করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার কথা ভাবছি। তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করতে চাইলে আমাদের নিবন্ধন না দিয়ে তো আর পারবে না। আর তারা যদি ২০১৪ বা ২০১৮’র মতো সাজানো-পাতানো নির্বাচন করতে চায়, সেটি এ দেশের জনগণ আর হতে দেবে না। ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ না থাকলে আমরাও এ ধরনের নির্বাচন হতে দেবো না। যেহেতু সংকট আছে, রাজনৈতিক শূন্যতা আছে এবং দলগুলোর প্রতি জনগণের অনাস্থা আছে, সেহেতু আগামী নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। তবে নির্বাচন কী প্রক্রিয়ায় হবে, সেটি আগে দেখতে হবে।

সারাবাংলা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হলে কি নির্বাচনে অংশ নেবেন?

নুর: সামনের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হবে না। কারণ কোনো রাজনৈতিক দলই সেটি মেনে নেবে না। এছাড়া রাজনীতি তো কেবল আওয়ামী লীগ করে না, দেশটাও তাদের পৈতৃক সম্পত্তিও না যে তারা যা বলবে, জনগণ সব মেনে নেবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে জনমত গঠনে যা করা দরকার, আমরা সব করব। নব্বইয়ে এরশাদ পতন আন্দোলনের সময় আপনারা তিন জোটের নেতৃত্বে আন্দোলন দেখেছেন। এখন আওয়ামী লীগ ও তার উচ্ছিষ্ট সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া কেউই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না। জনগণ আওয়ামী লীগের ভাঁওতাবাজি গত দুইটি নির্বাচনে বোঝেনি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন তার প্রতি আস্থা রাখতে। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন বললে জনগণ আস্থা রাখতেই পারে। সে হিসাবে জনগণ দুই বার আস্থা রেখেছে এবং প্রতারিত হয়েছে। আগামী নির্বাচন তাই নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই হবে। সেটি হতে পারে জাতীয় সরকারের অধীনে, কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কোনো একটি সরকারে অধীনে।

সারাবাংলা: তত্ত্বাবধায়ক সরাকার তো সংবিধানে নেই। তাহলে…

নুর: সংবিধানে নেই, কিন্তু সরকার চাইলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে একটিই সামাজিক চুক্তি হয়েছে— রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে এবং ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এই ব্যবস্থাকে বাতিল করেছে। কিন্তু জনগণ এটা মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা আন্দোলন করে, ২০০ দিন হরতাল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনেছিল। আজ যারা রাজনীতি করছেন, তারাও সেই আন্দোলন দেখেছেন। প্রয়োজনে এখনকার রাজনীতিবিদরাও সেই পথে হাঁটবেন।

সারাবাংলা: সারাবাংলাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

নুর: সারাবাংলাকেও ধন্যবাদ।

সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন