বিজ্ঞাপন

‘মাঠে অদ্ভুত সমন্বয় রয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে’

November 4, 2021 | 4:34 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেকোনো প্রয়োজনে মাঠ কর্মকর্তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনি প্রস্তুতি সারাদেশেই ভালো হয়েছে। আটটি বিভাগের মধ্যে ঢাকা আর খুলনায় উত্তেজনা রয়েছে। খুলনা নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। ঢাকার ব্যাপারে আমরা সচেতন থাকব। মাঠপ্রশাসনের প্রশংসা করে সিইসি বলেন, আপনাদের মধ্যে অদ্ভুত ধরণের সমন্বয় রয়েছে। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে দ্বিতীয় ধাপে ইউপি ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় অনলাইনে অংশ নিয়ে এমন কথা বলেন সিইসি। ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের পরিচালনায় অনলাইন সভায় আরও যুক্ত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.), সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তাদের কোনো দল, মত, ব্যক্তি বিশেষের প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে না। ভোটাররা যার যার ভোট দিয়ে চলে যাবেন এই রকম একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।’ তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নির্বাচনি পরিবেশ ভালো না থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোট বন্ধ করা হবে।’ এছাড়া কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেই। এক ঘণ্টাও আমরা বিলম্ব করি না। কোথাও অসুবিধা হলে সমস্যাগুলো আমাদের কাছে আসতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে, সেই এলাকার নির্বাচনি পরিবেশ ভালো না। তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার নির্বাচন বন্ধ করে দেব। যদি কোনো প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হয়, তাহলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা আমাদের আছে।’

বিজ্ঞাপন

মাঠপ্রশাসনের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ এলে আমরা তা ফাইল বন্দি করে রাখি না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হবে। জাতীয় নির্বাচনের থেকে এই নির্বাচন আলাদা। এখানে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়।’

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক যারা আছেন তারা পাশে থেকে সাহস যোগাবেন। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে কেউ যাতে পার পেয়ে যেতে না পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে উৎসাহ দিতে হবে। কোনোরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে তারা আইনের আওতায় আসবে এবং এই জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে।’

কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রায় সব দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অর্পিত থাকে। নির্বাচন কমিশনের হাতে প্রায় কিছুই থাকে না। সুতরাং তারা দায়িত্ব পালনের জন্য যেকোনো ধরণের সাহায্য সহযোগিতা আমাদের কাছে চাইলে তা পাবেন। তবে সব থেকে বেশি সহযোগিতা নিতে হবে মাঠপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন