বিজ্ঞাপন

আহছানউল্লার অধীনে আর কোনো পরীক্ষা নয়

November 11, 2021 | 7:20 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর আর কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তবে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের নিয়োগ পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা নিয়ে আজকের (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে আহছানউল্লার অধীনে আর কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনকি ১৩ ও ১৯ নভেম্বর আহছানউল্লাহর অধীনে যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তাও স্থগিত করা হয়েছে।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের (অফিসার ক্যাশ) পরীক্ষার ব্যাপারে আজ কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে রোববার (১৫ নভেম্বর) সিদ্ধান্ত হবে।’

এদিকে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সচিবালয়ের অন্তর্ভুক্ত তিন ব্যাংকের দুই পদের লিখিত পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সোনালী ও বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আইটি এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংকের অ্যাসিসটেন্ট ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। সিনিয়র অফিসার আইটি পদের পরীক্ষা ১৩ নভেম্বর এবং অ্যাসিসটেন্ট ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদের পরীক্ষা ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষার তারিখের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার তিন কর্মী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান মো. মোক্তারুজ্জামান, ল্যাব সহকারী মো. পারভেজ মিয়া ও অফিস সহকারী মো. দেলোয়ার হোসাইন। একই ঘটনায় পূবালী ব্যাংকের পুরান ঢাকা ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানকেও বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সামছুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসে তিনজনের জড়িত থাকার নাম এসেছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) অভিযোগ পাওয়ার পর-পরই তাদের বরখাস্ত করা হয়। মো. মোক্তারুজ্জামান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। বাকি দুজন কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন