বাম থেকে সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা, ছবি: এনডিটিভি
November 15, 2021 | 5:06 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের আসাম প্রদেশে দুইজন নারী সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি দেশটির ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্টের কারণে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ নভেম্বর) তাদের ত্রিপুরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খবর এনডিটিভি।
গ্রেফতারকৃত দুই সাংবাদিকের নাম সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা। তারা সংবাদমাধ্যম এইচডব্লিউ নিউজ নেটওয়ার্কে চাকরি করেন। গত রোববার (১৪ নভেম্বর) ত্রিপুরার ফটিকরায় থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সমর্থকরা।
এইচডব্লিউ নিউজ নেটওয়ার্ক এক টুইট বার্তায় জানায়, ‘আমাদের রিপোর্টার সমৃদ্ধি সাকুনিয়া এবং মিসেস স্বর্ণা ঝাকে আসামের করিমগঞ্জের শেল্টার হোম থেকে আজ (সোমবার) বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তাদের ত্রিপুরায় উদয়পুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। এ সময় সিনিয়র অ্যাডভোকেট পীযূষ বিশ্বাস এইচডব্লিউ নিউজ নেটওয়ার্কের হয়ে তাদের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকবেন। অবিলম্বে আমাদের সাংবাদিকদের জামিন এবং মুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছি।’
এর আগে গতকাল রোববার আগরতলায় একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ওই দুই নারী সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, গোমতি জেলায় একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এ কারণে কোরআনের একটি কপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ত্রিপুরা পুলিশের সন্দেহ, তাদের আপলোড করা ভিডিওগুলো এডিট করা। গত ১১ নভেম্বর একটি টুইট বার্তায় সাকুনিয়া লিখেছেন, ‘#ত্রিপুরাভায়োলেন্স দরগা বাজার: ১৯ অক্টোবর বেলা আড়াইটা, কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি দরগা বাজার এলাকায় মসজিদটি পুড়িয়ে দেয়। আশেপাশের লোকেরা এ বিষয়ে খুবই হতাশ। কারণ, এখন তাদের প্রার্থনা (নামাজ) করার কোনো জায়গা নেই।’
ত্রিপুরা পুলিশ প্রধান ভিএস যাদব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেন, সাকুনিয়ার পোস্টগুলো সত্য নয়। এগুলো সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য প্রচার করা হয়েছে৷
এ ঘটনায় এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেফতারকৃত দুই সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে সংগঠনটি।
সারাবাংলা/এনএস