বিজ্ঞাপন

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত: সিইসি

April 8, 2018 | 1:31 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা উচিত বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

রোববার ( ৮ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) উদ্যেগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, অতীতের সব সংসদ নির্বাচনে সেনা বাহিনী  মোতায়েন ছিল, আগামী সংসদ নির্বাচনেও তা থাকা উচিৎ। তবে এটা আমার নিজস্ব মতামত এ বিষয়ে কমিশন চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেবে।’

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়নের কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হওয়া উচিৎ।’

তিনি জানান, ‘বর্তমানে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্ট থাকায় ১২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। সে সঙ্গে কারাগারে কিংবা পুলিশ হেফাজতে থাকা আরও ৭৫ হাজার ভোটার ভোটের দিন ভোট দিতে পারেন না। এসব ভোটাররা কিভাবে ভোট দিতে পারেন। সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি।’

এ ছাড়া প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়েও নির্বাচন কমিশন কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি তবে এখানে আইনি কিছু জঠিলতা রয়েছে। বিদ্যমান আইনে পোস্টাল ভোট এবং প্রক্সি ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তা কার্যকর নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই দুই প্রকারের ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন। সে জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হবে। এই আইনের আওতায় প্রবাসী ভোটাররা পড়বে কি-না তা আইনে স্পষ্ট করা নেই। এ বিষযে সরকার ও জাতীয় সংসদ সিদ্ধান্ত নিলে ইসি পদক্ষেপ নেবে।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান এমপি বলেন, আমি যতটুকু জানি আগামী সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। কিভাবে থাকবে, কোথায় মোতায়েন করা হবে সেটা নির্বাচন কমিশন জানে। আমার মনে হয় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে দেশের মধ্যে অবস্থান করা নাগরিকরাই ভোট দিতে পারছেন না। তাই সবার আগে দেশের মধ্যে অবস্থান করা নাগরিবদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ ছাড়াও ইলেকশনের সময় ভোটের কাজে নিয়োজিত থাকা ১২ লাখ ভোটার এবং কারাগারে থাকায় আরও ৭৫ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রযোগ করতে পারছেন না। তাই দেশে অবস্থান করা যে সব নাগরিক ভোট দিতে পারেন না। আগে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

বিগ্রেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়ার আগে ইসি থেকে কয়েকটি টিমের বিদেশে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ব্যাপারে ভারত কীভাবে প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তভুক্ত করছে, তা অনুসরণ করা যেতে পারে।

এ ছাড়াও মূল প্রবন্ধে মো. আবদুল আউয়াল বলেন, বর্তমানে ৭৫ লাখ লোক প্রবাসে রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে তাদের ভোটাধিকারের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু গত ১০ বছরেও তার কোনো অগ্রগতি নেই।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল মোমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/একে/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন