বিজ্ঞাপন

‘কাউকে না জানিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয় কিশোর তাসকিন’

November 22, 2021 | 7:51 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে রিকশাচালক, আরোহী বাবা ও তার কোলের পাঁচ মাসের শিশুকে আহত করার ঘটনায় গ্রেফতার কিশোর তাসকিন আহম্মেদ শাফির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো আদেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল.মামুন এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে সেখানকার উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তার সামনে পুলিশকে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।

এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) শ্রী বিপ্লব সরকার কিশোর তাসকিন আহম্মেদকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

শুনানির সময় বিচারক তাসকিনকে দেখে বলেন, ওর তো গাড়ি চালানোর বয়স হয়নি। লাইসেন্স নাই। তার হাতে গাড়ি দিল কেন? ওর বাবাকে গ্রেফতার করা উচিত। এরপর তাসকিনের কাছে জিজ্ঞাসা করেন, গাড়ি কার নামে? এরপর বিচারক বলেন, তাকে রিমান্ড দিতে পারব না, রিমান্ড হবে না। তখন তাসকিনের উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, এখনো অনেক সময় পরে আছে। বড় হও, অনেক গাড়ি চালাতে পারবে। তুমিও তো একজনের ছেলে। যে শিশুটাকে আহত করেছো সেও তো কারও না কারও ছেলে। কত সময়, কত দিন পরে আছে। জীবনটা কি এতো ছোট।

বিজ্ঞাপন

এরপর তাসকিনের বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তারজেল হোসেনসহ কয়েকজন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। তখন বিচারক তাদের বলেন, আদেশ তো হয়ে গেছে। এখন আর শুনানি করা যাবে না।

বিচারক তাসকিনের বাবার কাছে জানতে চান, সে (তাসকিন) কি লাইসেন্সসহ গাড়ি চালাচ্ছিল? তখন তার বাবা বলেন, না। তিনি বলেন,‘কাউকে না জানিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায় সে।

তখন বিচারক বলেন, অন্যায় আপনি করেছেন, অপরাধ আপনি করেছেন। এরজন্য আপনার শাস্তি হওয়া উচিত। শিশু বাচ্চাটার পা ভেঙে গেছে। যায় হোক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শেষ হোক। এরপর জামিন শুনানি হবে।’

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ফখরুল হাসান তার পাঁচ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে বের হন। তিনি একটি রিকশা নিয়ে মগবাজার থেকে বেইলি রোড হয়ে রমনা পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেইলি রোডে একটি বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার তাদের বহনকারী রিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাচালক আনোয়ার ইসলামসহ গুরুতর আহত হন ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার পাঁচ মাসের শিশু পুত্র ইব্রাহিম মোহাম্মদ বিন হাসান। দুর্ঘটনার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন