বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

November 29, 2021 | 1:53 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৫৭ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। আর এতেই পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে করায় স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে লিটন দাসের ৫৯ ছাড়া অর্ধশতক স্পর্শ করতে পারেনি কেউই। অন্যদিকে পাকিস্তানের হয়ে ৫ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে পাকিস্তান যে পথ দেখিয়েছিল চতুর্থ দিনে এসে সে পথেই হাঁটল বাংলাদেশ। বিদায় নিলেন মুশফিক, দিনের প্রথম ওভারেই হারাল উইকেট। এরপর ইয়াসিরের কনকাশন, মিরাজের বিদায়ে চাপে পড়া বাংলাদেশের এক প্রান্ত আগলে রাখলেন লিটন দাস।

হাসান আলীর করা দিনের প্রথম বলেই চার মেরে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। সে আনন্দ বেশীক্ষণ টেকেনি। তৃতীয় বলেই মুশফিককে বোল্ড করে বদলা নিলেন হাসান আলী। ৩৩ বলে ১৬ রান করে বিদায় নিয়েছেন মুশি এতেই ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশের।

বিজ্ঞাপন

মুশফিক ফিরলে উইকেটে আসেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাস। তবে প্রথমে পড়তে পারতেন বিপদে কিন্তু বেঁচে গেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ানের মিসে। নোমান আলীর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিস করলেন। পেছনে থাকা উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান বলটা ধরতে পারেননি, মিস করেছেন স্টাম্পিংয়ের সুবর্ণ সুযোগ। রিজওয়ানের প্যাডে লাগে বল।

এরপর বড় এক ধাক্কা বাংলাদেশ দলে। পাকিস্তানি পেসাররা ইয়াসির আলীর শর্ট বল খেলতে না পারার দুর্বলতাকে লক্ষ্য করেছিলেন নিশ্চিত। আর এ কারণেই ইয়াসিরের বিপক্ষে অস্ত্র হিসেবে বাউন্সার নিয়ে হাজির শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হাসান আলী। আর সেই বাউন্সারই কাল হলো ইয়াসিরের। শাহিনের বাউন্সারে ইয়াসিরের হেলমেটে আঘাত লাগলে তখনই চিকিৎসক দলের তৎপরতায় নিশ্চিত হওয়া যায়, বাজে কিছু হয়নি ইয়াসিরের। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই নোমান আলীর ওভার শেষ হওয়ার পর অবসরের সিদ্ধান্ত নেন ইয়াসির। ৭২ বলে ৩৬ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। কনকাশন সাব হিসেবে ইয়াসিরির জায়গা দলে ঢুকেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান।

বিজ্ঞাপন

কিছুক্ষণ আগেই সাজিদ খানের এক গুগলিতে পরাস্ত হয়েছিলেন লিটন, সে যাত্রায় রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন। মিরাজের ক্ষেত্রে ভাগ্য তেমন সহায় হলো না। সাজিদের ঘূর্ণি বুঝতে ভুল করলেন, বল সোজা গিয়ে লাগল মিরাজের প্যাডে। আর তাতেই এলবিডব্লুর আবেদন, আঙুল তুললেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি মিরাজের। ১১৫ রানে ৬ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। মিরাজ ৪৪ বল খেলে করলেন ১১ রান।

আগের ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পাওয়া লিটন এই ইনিংসেও পেয়ে গেলেন অর্ধশতক। ৫২তম ওভারে শাহিনের বলে শাহিনের বলে দারুণ কাভার ড্রাইভে চার মেরে ৪৯ রানে পৌঁছান লিটন, পরের বলে এক রান নিয়েই পেয়ে যান অর্ধশতক। ৮৩ বলে এল তাঁর অর্ধশতক।

সকাল থেকেই সাজিদ খানকে সামলাতে বেশ হাঁসফাস করছিল বাংলাদেশ। নুরুলও আউট হলেন সেই সাজিদকে পড়তে না পেরে। এই লেগ স্পিনারের বলে ফাহিম আশরাফের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন নুরুল। ৩৩ বলে ১৫ করেছেন তিনি।

৫ উইকেট নিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি (ছবি: শ্যামল নন্দী)

নুরুলের ৪ রান আর ১৬ বল পর আউট হয়ে গেলেন লিটনও। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা শাহিনের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৫৯ রান করে আউট হয়েছেন লিটন।

বিজ্ঞাপন

এরপর শেষ দিকে এসে আর কেউই রান তুলতে পারেননি। ৬ উইকেটে ১৫৩ থেকে চোখের পলকে অলআউট বাংলাদেশ! শেষ দিকে মাত্র ২২ বলে ৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এতেই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ২০২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ।

লিটন যখন ফিরলেন তখন বাংলাদেশের লিড ২০১ কিন্তু এরপর আরও দুই ব্যাটার ক্রিজে নামলেও একটি রানও যোগ করতে পারেননি। তাইজুল এবং রাহী দুইজনই ফেরেন শূন্যতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড

১ম ইনিংস

বাংলাদেশ: ৩৩০/১০; (সাইফ হাসান ১৪, সাদমান ইসলাম ১৪, মুমিনুল ৬, শান্ত ১৪, লিটন ১১৪, ইয়াসির ৪, মুশফিক ৯১, তাইজুল ১১, রাহী ৮, এবাদত ০ এবং মিরাজ ৩৮*); (আফ্রিদি ২৭-৮-৭০-২, হাসান আলী ২০.৪-৫-৫১-৫, ফাহিফ-১৪-২-৫৪-২, সাজিদ-২৭-৫-৭৯-১, নুমান-২৬-৬-৬২-০)।

পাকিস্তান: ২৮৬/১০; (আবিদ আলী ১৩৩, আব্দুল্লাহ শফিক ৫২, আজহার আলী ০, বাবর আজম ১০, ফাওয়াদ আলম ৮, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫, ফাহিম আশরাফ ৩৮, হাসান আলী ১২, সাজিদ খান ৫, নুমান আলী ৮, আফ্রিদি ১৩*); (রাহী ১২-০-৪১-০, এবাদত-২৬-৭-৪৭-২, তাইজুল ৪৪.৪-৯-১১৬-৭, মিরাজ ৩০-৭-৬৮-১ মুমিনুল ৩-০-১২-০)।

২য় ইনিংস

বাংলাদেশ: ১৫৭/১০; (সাদমান ১, সাইফ ১৮, শান্ত ০, মুমিনুল ০, মুশফিক ১৬, ইয়াসির ৩৬, লিটন ৫৯, মিরাজ ১১, সোহান ১৫, তাইজুল ০, রাহী ০, এবাদত ০*); (শাহিন আফ্রিদি ১৫-৮-৩২-৫, হাসান আলী ১১-০-৫২-২, ফাহিম ৮-৩-১৬-০, নুমান ৯-৩-২৩-০, সাজিদ ১৩.২-১-৩৩-৩)।

পাকিস্তানের সামনে জয়ের লক্ষ্য ২০২ রানের।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন