বিজ্ঞাপন

রাস্তাঘাট তৈরির পদ্ধতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন মনে করছেন এমপিরা

April 8, 2018 | 9:56 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সড়কের স্থায়ীত্ব কম হওয়া প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছে ব্যাখা চেয়েছেন সংসদ সদস্যরা। এ ব্যাপারে একটি কমিটিও গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটির সদস্যরা বিদেশ ঘুরে এসে রাস্তা তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের বিষয়ে সুপারিশ দেবে।

রোববার (৮ এপ্রিল) পরিকল্পনামন্ত্রীর সভাপতিত্বে সড়ক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সড়কের মান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কামাল আজাদ, ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমইডি) সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান পকৌশলী ইবনে আলম হাসানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন উন্নত দেশের দিকে এগুচ্ছি। তাই আমাদের রাস্তাঘাট উন্নত দেশের মতো হওয়া উচিত। পাকিস্তান আমলে রাস্তা করা হতো রিজিট পেভমেন্টের (কংক্রিট)। স্বাধীনতার পর বিটুমিনের রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া আগে গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতে ভারি যানবাহন চলত না। এখন প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ৩০ টন ট্রাক যাচ্ছে। ফলে ওই রাস্তাগুলো টেকসই হচ্ছে না। এ জন্য রাস্তাঘাট তৈরির পদ্ধতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন। এছাড়া গ্রামীণ রাস্তা প্রশস্ত এবং মজবুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, এখন থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী এলাকার বৈশিষ্ট মেনে রাস্তা সংস্কার ও পুর্নবাসন করা হবে। রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারে বিদেশি অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি কাজে লাগাতে একটি কমিটি গঠন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে। তিনি সড়ক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো থেকে ২ জন করে সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করবেন। এই কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে বিদেশ সফর করে এসে প্রতিবেদন দাখিল করবে। তারপরই কংক্রিট ও বিটুমিন, যেখানে যেটি প্রয়োজন সে অনুযায়ী আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এছাড়া উপকূলীয় ও হাওর অঞ্চলের জন্য ভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দ্রুত সংস্কার, রাস্তার পাশে যদি পুকুর থাকে তাহলে রিটেইনিংওয়াল এবং গাইডওয়াল দিতে হবে। নতুন করে রাস্তার ধারে পুকুর করা যাবে না। যেসব রাস্তার পাশে হাটবাজার আছে সেখানে কংক্রিট দিয়ে রাস্তা করতে হবে এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে সূত্রে জানায়, সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, আমরা দুই বছর আগে মালেয়েশিয়া গিয়েছিলাম। তখন বলা হয়েছিল, ওই রকম রাস্তাঘাট করা হবে। কিন্তু তার কোন বাস্তবায়ন নেই। গ্রামে গেলে নবম-দশম শ্রেণির ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত জানতে চায় রাস্তা কেন টেকসই হয় না।

সংসদীয় কমিটির সদস্য মহিবুর রহমান মানিক বলেন, সামনে নির্বাচন। তাই রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা দূর করতে হবে। নির্বাচন ছাড়াও এটা জরুরি। প্রকৌশলীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি, আর আমরা জনপ্রতিনিধি। আমরা যেভাবে রাস্তা করতে বলবো প্রকৌশলীরা সেভাবেই করবে। সভায় প্রকৌশলীরা জানান, রাস্তা নির্মাণে ত্রুটি হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৃষ্টিপাতের মৌসুম ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। একটানা ভারি বৃষ্টিপাত ও অকাল বন্যা হচ্ছে। ফলে বিটুমিনের রাস্তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে।

সারাবাংলা/জেজে/এসআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন