বিজ্ঞাপন

‘ওমিক্রনের কারণে আপাতত লকডাউনের পরিকল্পনা নেই’

December 5, 2021 | 4:15 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিশ্বের অনেক দেশেই নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও দেশে আপাতত লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ওমিক্রন ছড়িয়েছে— এমন দেশগুলোতে বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ ডিসেম্বর) সাভারের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, সীমান্ত বন্ধ না করলেও ল্যাব পরীক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। যারা এখন বিদেশে আছেন, তাদের এ মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো। তারা যেন সংক্রমিত হয়ে দেশে না আসেন। যারা বিদেশ থেকে আসবেন, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন, সেখানেই নিরাপদে থাকুন।

মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া দেশগুলো থেকে যাত্রী আসতে হলে অবশ্যই ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং ১৪ দিনে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এজন্য হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সব মন্ত্রণালয় ওমিক্রন ঠেকাতে সহায়তা করবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে ল্যাবের পরিধি অনেক বাড়ানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ৭ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ ও চার কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এরপর ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিধি আরও বাড়ানো হবে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী যারা আছেন, তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা করোনার পরীক্ষা, কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে। আপনারা জানেন, আমরা দুই থেকে তিন জন করে মৃত্যুর খবর পাই। এ অবস্থা থাকলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে। এসময় সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা সফরে আমরা বিভিন্ন কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছি, তারা যেন করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেন। বাইরে থেকে কেউ যদি আসে, তাহলে তাদের কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

আরও উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গণি, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদাসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন