বিজ্ঞাপন

পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে খুন-গুম প্রমাণ হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়: মির্জা ফখরুল

December 11, 2021 | 3:19 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় প্রমাণ হয়েছে পুলিশ আর র‌্যাবকে ব্যবহার করে খুন-গুম করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যে খবরটা বেরিয়েছে- নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেনজীর ও র‌্যাব প্রধানের ওপর। আমি এটা চমক মনে করি না, আমি এটাকে মনে করি অবশ্যসম্ভাবী পরিণতি।এটাই তাদের পরিণতি এজন্যে যে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, মানুষের অধিকারকে কেড়ে নেয়, যারা জনগনকে হত্যা করে তাদের এই পরিণতিই হয়।’

‘আমরা দেখতে চাই, জানতে চাই যে, এই সরকার এই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে; নাকি তারা আগের মতো চলবে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা এতো দিন ধরে যে কথাগুলো বলে আসছি, আমরা এতো দিন ধরে বলছি যে, মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে, আমরা বলছি যে এই সরকার রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করছে, পুলিশকে ব্যবহার করছে প্রশাসনকে ব্যবহার করছে, মানুষকে হত্যা করছে নির্মমভাবে। এটা প্রমাণিত হয়েছে আজকে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের যে সম্মেলন হয়েছে সেই সম্মেলনে বাংলাদেশেকে ডাকা হয় নাই। এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সরকার বাংলাদেশকে আজকে লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে রাখা উচিত যে, তারা হচ্ছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা কোনো ব্যক্তি বা দলের কর্মচারী-কর্মকর্তা নয়। সুতরাং সংবিধানের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব পালন করা আপনাদের দায়িত্ব নয়।’

বিদেশে অর্থপাঁচারকারীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা একথা জানি কারা লুট করে সমস্ত অর্থ পাঁচার করে দিচ্ছে দেশের বাইরে। কারা হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে বেগমপাড়ায় বাড়ি তৈরি করেছে, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করেছে –এটা আমার দেশের সবাই জানে। পরিণতি এটাই দেখবেন, এই সম্পদও তারা ভোগ করতে পারছে না। আজকে বলা হয়েছে যে, এই সম্পদগুলো সব বাজেয়াপ্ত করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়া একা নন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একা নন। সমগ্র জাতি তার সঙ্গে আছে। কারণ, তিনি হচ্ছেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে প্রতীক, তিনি হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক। সংকটটা শুধু বেগম খালেদা জিয়ার নয়, এই বিপদটা বিএনপির একার নয়, এই বিপদ সমগ্র জাতির। তিনিই (খালেদা জিয়া) একমাত্র এই দেশকে রক্ষা করতে পারেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব সমস্ত রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হবে। ছোট-খাটো বিভেদ ভুলে গিয়ে সবই ঐক্যবদ্ধ হবে। যে কোথায় ডান-বাম-এসব দেখা দরকার নাই। আজকে গোটা জাতি ডু্বে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে, জনগণকে উঠে দাঁড়ানোর কথা বলতে হবে, জনগণকে রাজপথে টেনে নিয়ে এসে আমাদেরকে সোচ্চার কন্ঠে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার সুচিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে।’

এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবারাহিম, বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, এনপিপির যুগ্ম মহাসচিব ফরিদ উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, এনডিপির আবু তাহের, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, মুসলিম লীগে শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন