বিজ্ঞাপন

রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

December 14, 2021 | 11:38 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে।

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বধ্যভূমি। বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকাল নয়টার দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পরে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও সামাজিক সাংস্কৃতিকসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিজয়ের ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে ‘সাম্প্রদায়িকতা রুখে দাঁড়াও’, ‘মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের তালিকা করতে হবে’, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বেগবান রাখতে হবে’ দাবিতে প্রজন্ম-৭১ নামে ( মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তান) সংগঠনের পক্ষে ব্যানারে দাবি তোলা হয়।

শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতেছিল। তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিক্ষেত্রের অগ্রগণ্য মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঘাতকদের এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনী।

বিজ্ঞাপন

বিজয় অর্জনের পর রায়ের বাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে পাওয়া যায় হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের খ্যাতিমান এই বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। পরে ওই এলাকা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।


মঙ্গলবার দিন শুরুর লগ্নেই ঢাকার রায়েরবাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শোকার্ত জনতা জড়ো হয় শ্রদ্ধার ডালি নিয়ে। ভোরে রায়েরবাজারের পাশাপাশি ঢাকার মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে নামে মানুষের ঢল। ফুলেল শ্রদ্ধায়, গান-কবিতা আর শপথে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হচ্ছে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা।

শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। প্রায় অর্ধশতক পর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির অংশ হিসেবে সরকার গত বছর প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জনের একটি তালিকা করে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন