বিজ্ঞাপন

কোটা সংস্কারের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

April 9, 2018 | 3:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটার বিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এমন নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের একথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি বৈঠকে অনির্ধারিতভাবে আলোচনা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ইতোপূর্বে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বিষয়ে আরও অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সে অনুযায়ি কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ।

বিজ্ঞাপন

গত ৬ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত ওই পরিপত্রে বলা হয়, ‘সকল সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোন পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হইলে সে সকল পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য হইতে পূরণ করিতে হইবে।’

এর আগে ২০১০ সালের মে মাসে জারিকৃত আরেক পরিপত্রে ১ম ও ২য় শেণির পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বিষয়ে বলা হয়, বিশেষ কোটার অধীন কোনো জেলার বিতরণকৃত পদের সংখ্যা হইতে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হইলে উক্ত বিশেষ কোটার অপূর্ণ পদসমুহ জাতীয় ভিত্তিক স্ব-স্ব বিশেষ কোটার জন্য প্রণীত জাতীয় মেধা তালিকা হইতে পূরণ করিতে হইবে।

‘উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসরণের পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের জন্য মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার কোনো কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে উক্ত পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করিতে হইবে। ’

বিজ্ঞাপন

‘উপরোক্ত পদ্ধতিদ্বয় অনুসরণ করিবার পরও কোনো বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) পদ পূরণ করা সম্ভব না হইলে অপূরণকৃত সে সকল পদ জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করিতে হইবে।’

এছাড়া ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কোটার ( মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, এতিম, শারিরীক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হইলে অপূর্ণ পদসমূহ জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী স্ব-স্ব জেলার সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য হইতে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করিতে হইবে।’

‘কোটা সংক্রান্ত বিদ্যমান অন্যান্য বিধান অপরিবর্তিত থাবিবে।’

এদিকে কোটা সংস্কারের বিষয়ে আন্দোলনকারীরা যে ৫ দফা দাবি তুলেছে তার মধ্যে তার মধ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলোও রয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি সরকারের জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপণ মানা হচ্ছেনা।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিপরিষদের ওই বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, কোটাপ্রথায় মেধার অবমূল্যায়ন হচ্ছে না। বরং কোটায় নির্ধারিত প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকেতা পূরণ করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত ৩৩ তম বিসিএসে ৭৭.০৪ শতাংশ, ৩৪তম বিসিএসে ৬৭.৪৯ শতাংশ এবং ৩৬ তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে ৭০.৩৮ শতাংশ প্রার্থী সুযোগ পেয়েছে।

কোটার বিষয়টিকে সাংবিধানিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি করা হয়েছে অনগ্রসর ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে।

 

সারাবাংলা/এইচএ/এমএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন