বিজ্ঞাপন

সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আর নেই

December 25, 2021 | 2:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একুশে পদকজয়ী সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ আর নেই। করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী রিয়াজ উদ্দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের চার বারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড আইসিইউতে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

রিয়াজ উদ্দিনের ভাই কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন। তিনি জানান, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ছিলেন। ১৮ ডিসেম্বর তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ’তে নেওয়া হয়।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মরদেহ জাতীয় প্রেস ক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর দেড়টায় সেখানে জানাজা হবে। এরপর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

১৯৪৫ সালের ৩০ নভেম্বর নরসিংদীর মনোহরদীতে জন্মগ্রহণ করেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। খ্যাতিমান এই সাংবাদিকের সাংবাদিকতা জীবন শুরু ১৯৬৮ সালে, পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায়। তিনি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও দ্য নিউজ টুডে পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একুশে পদক, মওলানা আকরম খাঁ পদক, অতীশ দীপঙ্কর পদক লাভ করেন তিনি। তার লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে— ‘সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন’, ‘আরব্য রজনী’ ও ‘পারস্য রজনী’।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সত্তর ও আশির দশকে অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব ও সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ ও ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মোট চার মেয়াদে আট বছর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (সাফমা) সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের সদস্যও ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও দ্য নিউজ টুডে’র প্রতিষ্ঠাতা  সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ছিলেন।

বরেণ্য সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রখ্যাত সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে সাংবাদিকতা পেশার অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি ছিলেন সাংবাদিক সমাজের অভিভাবক।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে শোক জানিয়েছেন সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুল ইসলাম হাসিব। ডিআরইউ নেতারা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এক বিবৃতিতে গভীর শোক জানিয়েছেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

বিজ্ঞাপন

রিয়াজ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে দেশ এক জন বরেণ্য সাংবাদিককে হারিয়েছে।

সারাবাংলা/জিএস/ইউজে/এএম/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন