বিজ্ঞাপন

সৌন্দর্যবর্ধনে ‘অনিয়ম পায়নি’ দুদক, নজর এলইডি প্রকল্পে

December 26, 2021 | 8:16 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অভিযান চালিয়ে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের নথিপত্র জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ বা অনিয়মের তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কিন্তু চসিকের এলইডি বাতি স্থাপন প্রকল্পে কিছু অনিয়ম পেয়ে এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের অনুমোদন চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদের নেতৃত্বে নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় দুদকের কর্মকর্তারা চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ ওমরের সঙ্গে কথা বলেন। দুদক টিম দুপুর ২টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন।

দুদক কর্মকর্তা আবু সাইদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬-এ চসিকের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে নানা অনিয়মের তথ্য আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে রোববার চসিকের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি ও নথিপত্র এবং ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে নথিপত্রগুলো সেখানে যাচাই-বাছাই করা হয়।

‘সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ চসিকের নিজস্ব নয়। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই অর্থ সংগ্রহ করে এ কাজ করেছে। পরে সেখান থেকে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ তারা সিটি করপোরেশনের তহবিলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে প্রদান করে। যেহেতু কাজটি সিটি করপোরেশন করে না, সুতরাং এক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ নেই। অনিয়মেরও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালে আগের মেয়রের আমলে ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। আমরা তালিকা নিয়েছি। বর্তমান মেয়র আসার পর এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করেছেন। আমরা সেটিও নিয়েছি,’— বলেন দুদক কর্মকর্তা আবু সাইদ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, একই অভিযানে চসিকের এলইডি বাতি স্থাপন প্রকল্পের নথিপত্রও যাচাই-বাছাই করেছেন দুদকের টিমের সদস্যরা। তবে কমিশনের অনুমোদন না থাকায় এ সংক্রান্ত কোনো নথিপত্র তারা জব্দ করেননি।

দুদক কর্মকর্তা আবু সাইদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে অনিয়ম না পেলেও এলইডি প্রকল্পে কিছু অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি। আমরা কমিশনের কাছে এ ব্যাপারে আরও বিশদ অনুসন্ধানের সুপারিশ করব। সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প নিয়ে অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যও আমরা কমিশনকে অবহিত করব।’

সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আমলে শুরু হওয়া এলইডি বাতি স্থাপন প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর দুদকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছিল চসিক। বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল চসিক।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন