বিজ্ঞাপন

‘আইনের বাইরে গিয়ে খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক হওয়ার সুযোগ নেই’

December 30, 2021 | 5:25 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এখন নতুন করে ওই আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে আইন অনুযায়ী জেলে গিয়েই আবেদন করতে হবে— এটাই আইনের কথা বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইনের বাইরে গিয়ে খালেদা জিয়ার প্রতি আর মানবিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিদেশি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে তাকে (খালেদা জিয়াকে) মানবিক বিবেচনায় সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছেন। মানবিক বিবেচনা তো সেখানে হয়ে গেছে। আজ এ প্রশ্ন উঠবে কেন? এত কিছু করার পরও কেন আবার এ প্রশ্ন উঠবে যে, আমরা মানবিক হচ্ছি না। আমি যেটা বলেছি, সেটা আইনের দিক থেকে বলেছি। এখন মানবিকতা দেখাতে গেলেও আমাকে আইনেই যেতে হচ্ছে।’

এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন করে করা আবেদনে আইনের কোনো ধারা উল্লেখ ছিল না বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় শর্তযুক্ত বা শর্তমুক্ত মুক্তির বিষয়টি ছিল। সেই যে দরখাস্ত সেটি নিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তযুক্ত ছিল।’

বিজ্ঞাপন

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে শর্ত ছিল, খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। বাসায় থাকতে হবে, হাসপাতালে যেতে পারবেন না। তিনি কিন্তু হাসপাতালে আছেন। তারপরও কিন্তু এখন নতুন করে করা আবেদনে সেটি উল্লেখ করা হয়নি। এখন কথা হলো, সরকার তো আগের আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন। এখন কি নিষ্পত্তি হওয়া আবেদন আবারও পুনর্বিবেচনা করা যায়?’

আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দণ্ড স্থগিত রেখে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন, এটা কি মানবিক বিবেচনা নয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় দণ্ড স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু মানবিক দিকটাই বিবেচনা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি কথাগুলোই ফ্যাক্ট। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে (আরাফাত রহমান কোকো) যখন মারা যান তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা একজন মা হিসেবে, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বাসায় গিয়েছিলেন। যতই শত্রুতা থাকুক, যতই পলিটিক্যাল পার্থক্য থাকুক, তার মুখের ওপর বাড়ির গেট সেদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা কি মানায়?’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘একজনের দুর্দিন যদি আরেকজনের আনন্দের দিন হয় তবে সেটা স্তিমিতভাবে পালন করা উচিত। দেখুন, এটা স্বীকৃত যে, আমরা যে সমাজে বাস করি, সমাজের একটা স্ট্রাকচার আছে, আমরা খুব ভালো করেই জানি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়েছে। এটাও প্রমাণিত যে, খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট পালিত হয়। এটা কাকে কোন বিষয়টাকে কটাক্ষ করা?

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিকের নামে মামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা যাবে না। তদন্তের পর মামলা নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করাও উচিত। তবে সে আইন করতে দীর্ঘ সময় লাগবে।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন