বিজ্ঞাপন

ইসি গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির নেই: গণফোরাম

January 1, 2022 | 1:10 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সংলাপ শুরু করেছেন তা কি বৈধ? এমন প্রশ্ন রেখেছেন গণফোরাম একাংশর নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন রাষ্ট্রের কর্ণধার হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিকভাবে সংলাপ ডাকার অধিকার আছে। তবে তার নির্বাচন কমিশন গঠন করার ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতি কেবল প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন। এ ছাড়া কবর এবং মাজার জিয়ারত করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

গণফোরাম মনে করে— প্রধান নির্বাচন কমিশন গঠন করার এখতিয়ার তার নেই। তিনি সংলাপের বিষয় নিয়ে সরকারের নির্বাহী বিভাগকে জানাবেন। তাই মনে করি রাষ্ট্রপতি সংলাপ না করে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য মন্ত্রিপরিষদে লিখিতভাবে জানাতে পারতেন। তা না করে জাতির এই ক্রান্তিকালে মেরুদণ্ড বাঁকা করে তিনি সংলাপের পদক্ষেপ নিয়েছেন। গণফোরাম রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না।

শনিবার (১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দলটির সভাপতি মোস্তফা হোসেন মন্টু গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শুধুমাত্র শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই চলবে না, এর জন্য অপরিহার্য জাতীয় ঐক্যমতের সরকার। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাধিকারসহ জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দল ও শ্রেণি-পেশার বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ কে নিয়ে এক রাউন্ড নেশনাল কনভেনশন অনুষ্ঠান করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

অপেক্ষামান সাংবাদিকরা জানতে চান, গণফোরাম দুই অংশে বিভক্ত ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম আগামীকাল রোববার রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আপনাদের মন্তব্য কী।

জবাবে দলটির সভাপতি মোস্তফা হোসেন মন্টু বলেন, ‘আমরা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করে এই সংলাপে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের বিশ্বাস তিনি যাবেন না। আমরা লিখিত চিঠি দিয়েছি তাকে। উল্লেখ করেছি বিএনপি কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিরোধী বেশকিছু রাজনৈতিক দল সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মন্টু বলেন, ‘এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে রাস্ট্রপতির সংলাপ কার্যত একটি নাটকীয় আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। বর্তমান সরকারের অপশাসন ও জনগণের ভোটাধিকার হরণের সহযোগী হিসেবে এ সংলাপ গণ্য করা হবে। তাই গণফোরামের ঐতিহ্য ও সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে আপনাকে এবং গণফোরামের পক্ষে উক্ত সংলাপে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে দলটির সভাপতি মহসিন মন্টু বলেন, ‘জাতীয় সংসদে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, এবং কাউকে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেব না। দেশ আজ চরম সংকটে আন্তর্জাতিকভাবে খুবই চাপের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। গণফোরাম জনগণের দল জনগণের সঙ্গেই থাকব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সংসদ রাতের অন্ধকারের সংসদ। তারপরও এই সংসদের কাছে দেশ ও জাতির স্বার্থে আগামী দিনে দেশ ও জাতির কল্যাণ এর জন্য ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।’

এ প্রসঙ্গে দলটির নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ বলেন, ‘ড. কামাল এরপরও সংলাপে অংশ গ্রহণ করলে তিনি বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হবেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন