বছরজুড়ে ১২৩৫ ধর্ষণ, সবচেয়ে বেশি ১৩৮টি জুনে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০২১ সালে সারাদেশে মোট ১ হাজার ২৩৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২৯টি। অন্যদিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৭৯ জন। ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। আর ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ছিল এ বছরে সাতটি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ২০২১ সালে ধর্ষণের এই পরিসংখ্যানের তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি সোমবার (৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিদায়ী বছরটিতে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে জুন মাসে— ১৩৮টি।

১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে এই এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে মহিলা পরিষদ। এতে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে মোট ৩ হাজার ৭০৩ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৪৪ জন। এছাড়া ৪২৭টি রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এই বছরে।

ধর্ষণের ঘটনাগুলোর পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, দেশে ধর্ষণের শিকার ১ হাজার ২৩৫ জনের মধ্যে ৬২৯টি কন্যাশিশু। এর মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ১৭৯ জন, যার মধ্যে ৬২টি কন্যাশিশু। অন্যদিকে ২২টি কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন সাত জন। এছাড়াও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ১৫৫ জন, এর মধ্যে ৯৩টিই কন্যাশিশু। অন্যদিকে ১৪টি কন্যাশিশুসহ ৩৩ জন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। আর যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৬২টি কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন।

সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ জুনে, কম জুলাইয়ে

মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের ১২ মাসের মধ্যে আট মাসেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে শতাধিক। মাসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয়েছে জুনে— ১৩৮টি ধর্ষণ। আর সবচেয়ে কম ৬৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে জুলাইয়ে।

এছাড়া জানুয়ারিতে ১০৮টি, ফেব্রুয়ারিতে ১২১টি, মার্চে ১০৯টি, এপ্রিলে ১২৬টি, আগস্টে ১০৩টি, সেপ্টেম্বরে ১১৭টি ও অক্টোবর ১০১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বাকি তিন মাসের মধ্যে মে মাসে ৯৫টি, নভেম্বরে ৭৫টি ও ডিসেম্বরে ৭৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

‘দরিদ্র নারীরা আইনি সহায়তা পেতেও বৈষম্যের শিকার’
৫ দশকে কতটা ক্ষমতায়ন হলো নারীর?
২০২১ সালে নির্যাতনের শিকার ৩৭০৩ নারী ও শিশু

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর