April 10, 2018 | 4:14 pm
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশের আগে বিষয়টি নিয়ে আরও আলাপ আলোচনা হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশের সময় বাকস্বাধীনতার বিষটিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আইনের ৩২ ধারায় আরেকটি উপধারা সংযোজনের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
৯ এপ্রিল সোমবার সংসদে প্রাথমিকভাবে বিলটি পাস হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংসদে বিলটা পাশ হয়নি। আইন পাসের পদ্ধতি হলো লাইন মিনিস্ট্রি, যে ট্রাম্প করবে সে ট্রাম্প করার পরে নীতিগত খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে।’
‘মন্ত্রিপরিষদ নীতিগত অনুমোদন দিলে সেটি বেটিংয়ের জন্য যায়। বেটিংয়ে পরে আবার মন্ত্রী পরিষদে যায়। তারপর সেটা অনুমোদন হয়ে পার্লামেন্টে যায়। গতকাল পার্লামেন্টে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে এবং যখন সেটা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে তখন আরও আলাপ আলোচনা করার সময় থাকবে।’- জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘সাব সেকশনালের যে কথা বলা হয়েছে, সেটি যদি ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনকে ব্যহত করে তবে সেটা সংযোজন করা হবে না।’
সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব এজলাসসহ অপযাত্রা রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে শীঘ্রই উদ্যোগ নেওয়া হবে। এটা নিয়ে নতুন আইন আসছে। এই নতুন আইনের ফাইনালিস্ট হোক। তারপর এটাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য যা কিছু দরকার তা করা হবে।’
এ সময় বিচারকদের দুর্নীতি ও অফিস ফাঁকির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি দেশের সব আদালতে, সব জায়গায় খোঁজ খবর রাখছেন। এ ছাড়া কোর্ট যাতে ঠিক মতো চলে সে জন্য দ্রুতই একটি প্রাক্টিস ডাইরেকশন দেবেন বিচারপতি।
‘বিচারক নিয়োগের আইন খসড়া করা হচ্ছে । এটি অত্যন্ত সিরিয়াসলি দেখা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/এমএমএইচ/আইএ/এমআই