বিজ্ঞাপন

রাস্তায় বসে পড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘পিটিয়ে সরালো’ পুলিশ

January 5, 2022 | 6:25 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এতে তিন পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪৯ জনকে আটক করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতারা দ্রুত কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যেতে বাধ্য হন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একতরফা ও প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে এ মানবন্ধনের ডাক দেয় চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে— মানববন্ধন শুরুর আগেই প্রেসক্লাব চত্বরে বিএনপির হাজারেরও বেশিসংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। জ্যেষ্ঠ নেতারা সেখানে উপস্থিত হওয়ার আগেই প্রেসক্লাবের সামনে সড়কের একপাশ বন্ধ করে নেতাকর্মীরা বসে পড়েন।

বিজ্ঞাপন

মানবন্ধনে বিএনপি নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু হলে সড়কের উভয়পাশ বন্ধ হয়ে যায়। এতে জামালখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিএনপি ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাব চত্বর ছাড়াও আশপাশের অলিগলিতে অবস্থান নেন।

সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ এসে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। সড়কে জটলা করে থাকা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সরে যেতে বললে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। গলি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশও মারমুখী হয়ে উঠে। সড়কে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতারা বারবার শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। পুলিশ সড়কে অবস্থানের বিরুদ্ধে অনড় থাকলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীসহ নেতারা দ্রুত বক্তব্য দিয়ে প্রেসক্লাব থেকে চলে যান।

জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) জসীম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘শ’খানেক লোক উপস্থিত থাকবে জানিয়ে মানববন্ধনের মৌখিক অনুমতি নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু সেখানে এক থেকে দেড় হাজার জনসমাগম হয়। প্রথমে সড়কের একপাশ, পরে উভয়পাশ বন্ধ করে দেয় তারা। এতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ গেছে তাদের অনুরোধ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা গলির ভেতর থেকে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশ কর্তব্য পালন করেছে।’

তিনি জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার সময় মাথায় ইটের আঘাতে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলামসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪৯ জনকে আটক করেছে।

এদিকে পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির ৭-৮ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে দলটির নেতারা মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে দাবি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন