বিজ্ঞাপন

বিএনপিকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে আমন্ত্রণ

January 5, 2022 | 8:11 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মো. রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আগামী ১২ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় দলটিকে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গভবন সূত্র জানিয়েছে, একই দিনে সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রপতির সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এর আগেই গত ২৭ ডিসেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সংলাপকে ‘অর্থহীন’ বলে অভিহিত করে বিএনপি। দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেয়— তারা সংলাপে যাবে না। বঙ্গভবনে দলটিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর দলটির কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।

এর আগে, গত ২০ ডিসেম্বর ইসি পুনর্গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রথম দল হিসেবে এই সংলাপে অংশ নেয়। এরপর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরাম, বিকল্পধারাসহ বেশ কয়েকটি দল এই সংলাপে অংশ নিয়েছে। সবশেষ আজ বুধবার সংলাপে আমন্ত্রিত ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

এরপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সংলাপে আমন্ত্রিত হিসেবে রয়েছে গণফ্রন্ট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এছাড়া ৯ জানুয়ারি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল), ১০ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি (জেপি) ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং ১১ জানুয়ারি ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো আছে রাষ্ট্রপতির সংলাপে।

এদিকে, বিএনপি ছাড়াও আরও চারটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির এই সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। দলগুলো হলো— লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

সংবিধান অনুযায়ী, একটি আইনের অধীনে রাষ্ট্রপতিতে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনারের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো আইন প্রণয়ন করা যায়নি। ফলে রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্বেই নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মো. জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০১১ সালে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করেন। পরে সেই সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি প্যানেল প্রস্তাব করে। রাষ্ট্রপতি সেই প্যানেল থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চার জনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন।

জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে আসা আবদুল হামিদও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আসছেন। সবশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন। এক মাসের এই সংলাপে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩১টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এবারেও তিনি একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন।

এবারের এই সংলাপ আয়োজনের পেছনে রয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষের দিকে চলে আসার বিষয়টি। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন। সে হিসাবে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে এই কমিশনের মেয়াদ। এর আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আর নতুন নির্বাচন কমিশনের ওপরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার থাকবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন