বিজ্ঞাপন

বছরের প্রথম সপ্তাহেও বাড়তি দামে হতাশ ক্রেতা

January 7, 2022 | 8:24 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতুন বছরের প্রথম শুক্রবারেও (৭ জানুয়ারি) বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাড়তি দামে হতাশা প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। এখন পর্যন্ত মুরগি, চাল আর লাল মাংসের বাজার বাড়তি দামের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। সবজির বাজার কিছুটা কমতির দিকে হলেও গত মৌসুমের তুলনায় এখনও সেটি ঢের বেশি। দাম কমা নিয়ে খুচরা বিক্রেতারাও শোনাতে পারছেন না কোনো আশার কথা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার দুপুরের পর নিউমার্কেট, স্বপ্ন ও আজিমপুর-পলাশী এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চাল, ডাল ও ডিমের দাম আরও বেড়েছে। মুরগির দাম সামান্য কমলেও দাম এখনও অনেক বেশি। এছাড়াও অন্যান্য পণ্যের দাম কখনও উঠছে, আবার কখনও নামছে।

আজ বাজারে পোল্ট্রি মুরগির লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। একই দাম সোনালি কক মুরগির ডিমেরও। এছাড়াও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম ২২০ টাকা ডজন ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ডিম ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করছে বিভিন্ন দোকান ও সুপারশপগুলো।

ব্রয়লার মুরগির আজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের তুলনায় এই দাম ১৫ টাকা কম। তবে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এটি প্রায় ৫০ টাকা বেশি। এছাড়াও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। দেশি মুরগি আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে।

বিজ্ঞাপন

লাল মাংসের মধ্যে গরুর মাংস সুপারশপগুলোতে ৫৯৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাইরে কসাইরা বিক্রি করছেন ৬০০ টাকা কেজিতে। তবে পুরনো মাংস হলে ৫৫০ টাকায় দিয়ে দিচ্ছেন দোকানিরা। খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

এদিকে বাজারে চালের দাম বেড়েউ চলছে। পৌষের এই সময়ে চালের দাম নিয়মিত বাড়ে, তবে এবার অগ্রহায়েনেই চালের বেড়েছিল অনেক বেশি। এই সপ্তাহে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। সবচে মোটা নাজিরশাইল চাল ৭০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। চিকনের মধ্যে কাটারি নাজির (আধাসেদ্ধ) বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি।

মিনিকেট চালে প্রতি কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৪ টাকা, আটাশ চালের দাম ৫১ থেকে ৫২ টাকা, যা গেল সপ্তাহেও ৪৯-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও মোমিন ও রাবেয়া ব্রান্ডের বাসমতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি।

বিজ্ঞাপন

বাজারে সবজির দাম গেল সপ্তাহের মতোই রয়েছে। ভ্যানে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। একই টমেটো আবার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। দোকানে বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

এছাড়াও শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস আকৃতি ভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকা, পাতা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চালকুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, নতুন আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা, পুরনো আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ৪০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, হলুদের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২২০ টাকা।

পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ পাতাসহ আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। চায়না বড় আকারের রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দেশি ছোট আকারের রসুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

দেশি ডাল ১০৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় ডালপ্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিন প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। খোলা সরিষা তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা লিটার। আর বোতলের সরিষা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা লিটার।

এছাড়াও অলিভ বা জলপাইয়ের তেল ব্র্যান্ড ভেদে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

সারাবাংলা/টিএস/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন