বিজ্ঞাপন

কোটা সংস্কারে মত অর্থমন্ত্রীর, তবে বাজেটের পর

April 10, 2018 | 7:49 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটা সংস্কার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আসছে বাজেটের পর কোটা সংস্কার করা হবে।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) লভ্যাংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা সংস্কার হওয়া প্রয়োজন, তবে কোটা থাকতেই হবে। তবে তা কত শতাংশ থাকবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা থাকার কারন হল পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনা। দে হ্যাভ টু বি লিফটেড। বাংলাদেশ এই নিয়েই সারাজীবন যুদ্ধ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাকওয়ার্ড দেশে ছিলাম। সুযোগ সুবিধা কম ছিল। এখন যে কোটা হয়েছে অনেক বেশি বোধহয় হয়ে গেছে। এটা সংষ্কার করা উচিৎ। সংস্কারের চিন্তাভাবনা হচ্ছে।’

মুহিত বলেন, ‘এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা একটা বড় সংখ্যা। বড় সংখ্যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা হলেও উই ডোন্ট হ্যাভ মুক্তিযোদ্ধা ক্যান্ডিডেটস। যেখানে ফুলফিল হচ্ছে না সেখানে অন্য লোককে নেয়া যাবে। আমরা এ রকমই সিদ্ধান্ত দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য মেধা কোটা ৪৫ শতাংশ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ। মহিলা কোটা ১০ শতাংশ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ। অবশিষ্ট সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ। ইটস ভেরি ব্যাড। এটা সত্যিকারের ফেয়ার নয়। ইট হ্যাজ টু বি রি-এক্সামিন। আমিও এ কথা প্রধামন্ত্রীকে বলেছি। আমরা এটা রি-এক্সামিন করবো। আমাদের মন্ত্রণালয়ের বাজেটের পর।’

একই অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থী নয়- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে বলে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি হলে সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মেইকিং প্রফিট, সেই প্রফিটের ওপর ইনকাম ট্যাক্স হবে, ভ্যাট হবে না। ইয়েস, ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে।’ নিজের বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি হয়ত কালকে কি বলে ফেলেছি। একবার হয়ত আমরা ভ্যাট ইম্পোজ করেছিলাম, পরে সেটা অ্যক্টিভেট করি নাই। সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেয় না, তারা যে চার্জ টার্জ করে সেটা দিয়ে তো প্রফিট করে।’

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে সাত ভাগ ছাড়িয়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন