বিজ্ঞাপন

মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে বিএনপি কর্মীদের সাজা: রিজভী

January 11, 2022 | 5:08 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার নতুন আরেকটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দলটির সিনিযর যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে যে লাখ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছিল, এখন সেই মামলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সাজা দেওয়া শুরু করেছে। অবৈধ পথে ক্ষমতায় থাকা এবং ভোটারবিহীনভাবে আগামী নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতেই একের পর এক সাজা দেওয়া হচ্ছে। আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে নির্দোষ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া রাষ্ট্রের নাৎসিবাদী চেহারা বিপদজনকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভাষানটেক থানায় এর আগে দায়ের করা মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় বিস্ফেরক দ্রব্য আইনে গতকাল বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মীকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যে মামলায় তাদেরকে সাজা দেওয়া হয়েছে, ওই স্থানে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। যদি আইন আদালত শেখ হাসিনার কব্জায় না থাকত, তাহলে এই মিথ্যা মামলায় সকলেই খালাস পেত।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার নির্দেশেই এসব শুরু হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘পুলিশবিরোধী দলের আন্দোলন দমানোর জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে বানোয়াট মামলা দায়ের করেছিল। এই মুহূর্তে ওই মামলায় সাজা দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দেশে-বিদেশে সরকারের অপকর্ম ক্রমান্বয়ে উন্মোচিত হয়ে পড়ায় জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বিরোধী দল, বিরোধী মত নানাবিধ নিপীড়নের শিকার হতে থাকবে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিএনপি নেতাকর্মীদের এই সাজা দেওয়া। নির্বাচনের সময় পর্যন্ত এই সরকার কত যে অমানবিক আচরণ করবে এটি তার একটি অন্যতম নমুনা।’

রিজভী বলেন, ‘বর্তমানে নির্বাচন একটি দলের জিম্মার মধ্যে রয়েছে। ভোটাররা নয়, আওয়ামী সন্ত্রাসীরাই নির্বাচনি উৎসবে মেতে থাকে। কারণ, একতরফা নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা থাকা পাকাপোক্ত হবে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত লোকরা আরও বেশি জালিয়াতি ও দুর্নীতি করে টাকা পাচার করতে সক্ষম হবে।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তাতেও তাদের খায়েশ পুরো হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠন হয় সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছায়। আওয়ামী সরকার ফলাফল ধরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তারা সেই ফলাফলই ঘোষণা করে। আওয়ামী প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে পঙ্কিল কালিমালিপ্তের এক ঐতিহাসিক মাইলফলকে পরিণত করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিরিন আক্তার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন