বিজ্ঞাপন

ইসি নিয়ে সংলাপে বিজেপি’র আলোচনাতেও খালেদা জিয়া

January 13, 2022 | 9:59 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির আহ্বান করা সংলাপে যোগ দিয়ে কল্যাণ পার্টির মতো বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিও (বিজেপি) আলোচনায় তুলেছে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি। দলটি মনে করছে, সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ শেষে বঙ্গভবনের সামনে বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ এ কথা বলেন। সংলাপে তার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

এর আগেই বৃহস্পতিবার বিজেপির ঠিক আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির পক্ষ থেকেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানোর বিষয়টি আলোচনায় তোলা হয়।

আরও পড়ুন- সংলাপে গিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কল্যাণ পার্টির আলোচনা

বিজ্ঞাপন

সংলাপ শেষে আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছি।’ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কোনো আশ্বাস দিয়েছেন কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এমন কিছু বলেননি।

খালেদা জিয়াকে দেশে বাইরে পাঠানোর বিষয়টি আইনি কাঠামো অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান নয়। নারীদের জন্য আইন একরকম, যারা ট্যাক্স দেন তাদের জন্য আইন একরকম, ভিআইপিদের জন্য আইন একরকম। ফলে শুধু আইনের কথা বললে হবে না। খালেদা জিয়ার পরিবার রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে বলতে পারে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, সবকিছুই সরকারে সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। সরকার আন্তরিক হলে সবই সম্ভব। মনে রাখতে হবে, খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে রাজনীতির ওপর, রাষ্ট্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ইসি গঠনে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। এ তথ্য জানিয়ে পার্থ বলেন, আমরা আইন প্রণয়নের কথা বলেছি। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রাখার কথা বলেছি। আমরা বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে কোনোদিন কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়টিও অবান্তর। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন না থাকায় সরকার নিজের পছন্দ অনুযায়ী সার্চ কমিটি ও কমিশন গঠনের সুযোগ পায়। এজন্যই আমরা আইন করার দাবি জানিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

আন্দালিভ পার্থ আরও বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে পদক্ষেপ নিতে বলেছি। অনেকেই বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নেই। কিন্তু সংবিধানের ৪৮ (৫) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জনগণের পক্ষে তার মতামত মন্ত্রিপরিষদে পেশ করতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ভূমিকা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য তিনি এটি করতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে দিয়ে শুরু হয় সংলাপ। আজ ছিল সংলাপের ষষ্ঠদশ দিন।

এর আগে ১৫ দিনে মোট ২৮টি দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে এর মধ্যে বিএনপি, সিপিবিসহ পাঁচটি দল সংলাপ বর্জন করেছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন