বিজ্ঞাপন

‘জঙ্গি তামিমের পর সামাদ নব্য জেএমবির মূল সমন্বয়ক’

December 14, 2017 | 3:56 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহম্মেদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর নব্য জেএমবি সংগঠিত করতে মূল সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন আব্দুস সামাদ ওরফে আরিফ। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ঢাকায় আসার পর দেলোয়ার মিস্ত্রি ও শরিফুল ইসলাম খালিদের মাধ্যমে তামিমের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।

পরবর্তীকালে মামুর মাধ্যমে তারা জুনুদ আল তাওহীদ আল খলিফা নামে প্রথমে একটি সংগঠন তৈরি করে। সেখানে আনসার আল ইসলামের কিছু সদস্য যোগ দেয়। কিন্তু ২০১৪ সালে সেই সংগঠন বিলুপ্ত করে নব্য জেএমবি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করে তামিম। তাকে জেএমবির পুরাতন সদস্য মামুনুর রশিদ রিপন ও সরোয়ার জাহানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় মামু। সেই সময় তামিমের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করে সে।

বুধবার রাতে মহাখালী এলাকা থেকে দুই সহযোগী জিয়াদুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম ওরফে মেহেদীসহ মামুকে গ্রেফতারের করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম সামাদের বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফিং করেন।

তিনি বলেন, মামু ২০১০ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়। এর আগে সে কওমি মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস ও আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাস করে। সে আরবী ভাষায় অনেক দক্ষ ছিল। নব্য জেএমবি সংগঠিত করার পর মামু বিভিন্ন ট্রেনিং ক্যাম্পে গিয়ে মোটিভেশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিত। এছাড়া একই সঙ্গে নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহে অন্যদের সঙ্গে সহায়তা করত। মামুর শ্বশুর জিয়াদুল ইসলামের মাছের খামারে পানির নিচে তারা ডেটোনেটর লুকিয়ে রাখত। পরবর্তীতে চাহিদা মতো তা নির্দিষ্ট স্থানে সরবরাহ করত।

তিনি বলেন, সামাদ ওরফে মামু মূলত তামিমকে শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সেতু হিসেবে কাজ করেছে। তবে হলি আর্টিজান হামলার আগে তাকে আবার উত্তরবঙ্গে সদস্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করা হয়। এ জন্য মামু প্রথম দিকে ঢাকায় অবস্থান করলেও পরবর্তীতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান নেয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন,সামাদ ওরফে মামুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ সেই তামিম সম্পর্কে বেশি তথ্য জানে। তার কাছ থেকে তামিমের বাংলাদেশে অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।

মনিরুল ইসলাম বলেন,নব্য জেএমবি বর্তমানে কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। তাদের নতুন করে বড় ধরণের কোনও হামলা করার শক্তি বা সামর্থ্য নেই। তাদের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসেবে যারা কাজ করতো তাদের প্রায় সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে। তবে সংগঠনের যেসব নেতাকর্মীরা এখনো আত্মগোপনে রয়েছে তারা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।

গ্রেফতার হওয়া অপর দুই জঙ্গি বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন,জিয়াদুল ও আজিজুলের বাড়ি চাপাই নবাবগঞ্জে। জিয়াদুল সামাদের শশুর। সে অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখতে সামাদ ওরফে মামুকে সহায়তা করতো। আর আজিজুল বছর দুই আগে কথিত জিহাদের নামে ঘর ছাড়ে। মামুর বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে। তবে বেশিরভাগ সময় সে নওগাঁ ও চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় থাকতো। নওগাঁর সাপাহারের একটি বাসা থেকে সে পড়াশুনা করেছে।

সারাবাংলা/ইউজে/টিএম/একে

বিজ্ঞাপন

 

 

 

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন