বিজ্ঞাপন

ঋণখেলাপিদের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে: অর্থমন্ত্রী

April 11, 2018 | 8:52 pm

।। সিনিয়র করসেপন্ডেন্ট ।।  

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, যারা ঋণখেলাপি তারা জাতির ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছেন। যে টাকাটা অন্যখানে বিনিয়োগ করা যেতো, ঋণখেলাপিরা সে টাকা গুম করে দেন। এই ঋণখেলাপিদের নাম-ঠিকানা গণমাধ্যমে সময় সময় প্রকাশ করা হবে।’

বুধবার দশম জাতীয় সংসদেও ২০তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের তালিকা কয়েক দফায় জাতীয় সংসদে প্রকাশ করেছি। এ বিষয়ে সংসদ সদস্যরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সংসদ সদস্যরা লিস্ট দেখতে চেয়েছেন। আমি সেভাবে কয়েকবার ঋণখেলাপিদের নাম দিয়েছি। তবে, তাদের নাম-ঠিকানা কাগজে (পত্রপত্রিকায়) প্রকাশের চিন্তা কখনো করিনি। বিষয়টি এখনও ভেবে দেখিনি। তবে নিশ্চয়ই করতে পারি। এই প্রস্তাবটি বিবেচনার উপযুক্ত বলে মনে করি। ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। সময় সময় তাদের নাম প্রকাশ করা যেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

জাতীয় পার্টির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরীর লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল বলেছেন, ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়ক জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষুদ্র এবং মাঝারী শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের বাৎসরিক সামগ্রিক ঋণ বিতরণের মধ্যে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ ২০১৭ সালে অন্যূন শতকরা ২০ ভাগ এবং প্রতিবছর তা কমপক্ষে শতকরা ১ ভাগ বৃদ্ধিসহ অন্যূন শতকরা ২৫ ভাগে উন্নীত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পরিচালিত পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মাধ্যমে স্বল্প সুদে এখাতে অর্থায়নকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের অর্থায়নের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে জাতিসংঘের প্রদেয় বিভিন্ন চাঁদা বাংলাদেশের হার ২০২৭ সালের পর পর্যায়ক্রমে বাড়বে। এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জাতিসংঘের এলডিসি ফান্ড হতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য গ্রীন ইনভায়রনমেন্ট ফান্ড (জিইএফ) কর্তৃক প্রদেয় সুবিধার পরিমাণ হ্রাস পাবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমএস

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন