বিজ্ঞাপন

ঢাবির সমান শিক্ষার্থী হলেও শিক্ষক অনুপাতে দ্বিগুণ পিছিয়ে রাবি

February 3, 2022 | 5:14 pm

রাবি করেসপন্ডেন্ট

রাবি করেসপন্ডেন্ট: শিক্ষার্থীর সংখ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমান হলেও শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যায় ঢাবি, জাবি ও চবি তুলনায় দ্বিগুণ পিছিয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১০ জানুয়ারি ইউজিসি প্রকাশিত তথ্য মতে, দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাবিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৩৮৩ জন যার বিপরীতে শিক্ষক সংখ্যা ২ হাজার ৪২১ জন। অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৩৮ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রায় ঢাবির সমান হলেও শিক্ষক সংখ্যা ১ হাজার ৯৭ জন, যা ঢাবির তুলনায় অর্ধেকেরও কম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে অন্য দুই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পিছিয়ে রাবি। জাবি ও চবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২২, যেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপাত ১:৩৫। এছাড়াও ঢাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১৬।

বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রতি ৩৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ১ জন শিক্ষক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত (১ : ৩৫) হওয়ায় শিক্ষাব্যবস্থায় সমস্যা হবে বলে তিনি মনে করছেন না, তবে শিক্ষকের অনুপাত কমিয়ে আনা উচিত। বিভিন্ন জটিলতায় শিক্ষক নিয়োগ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় রাবিতে শিক্ষক সংখ্যার অনুপাত অনেকটাই কম বলে তিনি মনে করছেন। সামনের দিনগুলোতে শিক্ষকের অনুপাত কমিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে প্রশাসন। তবে শিক্ষক নিয়োগ বাড়লেই যে শিক্ষক অনুপাত কমে আসবে এমনটাও মানতে নারাজ তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী যাতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় সে ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসবেন। প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট যাচাই করে কোন ডিপার্টমেন্টে কতজন শিক্ষক প্রয়োজন, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষক বৃদ্ধি করতে হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম জানান, শিক্ষক নিয়োগ দিলেই যে শিক্ষার মান বেড়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয়। আমাদের যে সংখ্যক শিক্ষক আছে তারা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের পরিচর্যা করলে শিক্ষক সংখ্যার অনুপাত খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ডিপার্টমেন্টে যদি শিক্ষক সংকট থাকে তাহলে ওই বিভাগের সভাপতি মূল্যায়ন করে প্রশাসনকে অবগত করবেন। তাছাড়া দ্রুত সময়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পাশ হয়ে গেলে শিক্ষক অনুপাতের সংখ্যা কিছুটা কমে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন