বিজ্ঞাপন

আগামী বাজেটে বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না: অর্থমন্ত্রী

April 12, 2018 | 1:30 pm

।।সিনিয়র রিপোর্টার।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নির্বাচনী বছর হওয়ায় আগামী বাজেটে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে কৃষি যন্ত্রপাতিতে ‘আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট’ কমানো হবে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি। দেশে উৎপাদিত বেকারি শিল্পের (বিস্কুট ও রুটিতে) ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজস্ব বোর্ড ও এফিবিসিসিআই আয়োজিত যৌথ পরামর্শক কমিটির সভায় এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী বছরে বাজেটে নতুন কোন উদ্যোগ নেয়া যায় না। তাই, পুরোনো উদ্যোগগুলোতেই নতুনভাবে জোর দেয়া হবে। এনবিআর এখন জনবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে এনবিআর মানুষের অনেক কাছে এসেছে। হয়রানি অনেক কমে গেছে। এতে করদাতা বেড়ে ৩০ লাখে পৌঁচেছে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, বাজেটে সরাসরি রফতানিতে প্রণোদনা দেয়া হতে পারে। তবে, পোল্ট্রি খাতে বিশেষ কোন সুযোগ থাকছে না।

এদিকে, আসছে বাজেটে ব্যক্তি করমুক্ত আয় সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

একই সাথে সব কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর হার ২৫ ও ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাবও দিয়েছে ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠন। এছাড়া, তৈরি পোশাক শিল্পের নানা খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার ও রিটার্ণ দাখিল করা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম। সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি ১৯টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা নানা প্রস্তাব তুলে ধরেন। আবাসন খাতের সংগঠন রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীন ফ্ল্যাট ও প্লটের নিবন্ধন ফি কমানোর দাবি জানান। পাথর আমদানিতে কর ও ভ্যাটের হার পুন:নির্ধারণের প্রস্তাব দেন তিনি। সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় গৃহ ঋণ আবারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলেও তার বক্তব্যে উঠে আসে। ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদের বক্তব্যেও ব্যাংক সুদের হার নিয়ে উদ্বেগের কথা উঠে আসে। তিনিও কর্পোরেট কর কমানোর প্রস্তাব দেন। ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে এনবিআরের প্রাক বাজেট আলোচনায় দেয়া ২২ প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বক্তব্যে স্বাস্থ্য খাতে ‘স্বাস্থ্য বীমা’ চালুকরণ, ই-কর্মাস ব্যবসাকে করমুক্ত রাখা, ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার, কৃষিপণ্য আলুতে ভর্তুকি ও সিমেন্ট উৎপাদনের প্রাথমিক কাঁচামালে কর কমানোর কথা উঠে আসে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কর্পোরেট কর কমানোর দাবিকে অগ্রাহ্য করার কোন উপায় নেই। কর্পোরেট কর কমিয়ে রাজস্ব আয় বাড়ানোর উপায় খোঁজা হবে। হয়রানির বিষয়টি অনেক জায়গায় বলা হয়ে থাকে, আশা করি পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হবে। তিনি বলেন, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প যদি চালু না করি, তাহলে ২০১৯ সালে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সহায়তা চেয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন