২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি— ২ সংস্থাকে ধন্যবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় জেনোসাইড ওয়াচ এবং লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. গ্রেগরি এইচ স্টান্টন এবং লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এলিসা জোডেন-ফোর্জি ও সহ-সভাপতি ইরিনে ভিক্টোরিয়া মাসিমিনোর কাছে পাঠানো পৃথক দু’টি চিঠির মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে ব্যাপক গণহত্যা ও অপরাধ সংঘটন করেছিল। সে ঘটনাকে আপনাদের পক্ষ থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়ে সমব্যথী হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছে।

চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জেনোসাইড কর্নার’ স্থাপন করেছি।

বাংলাদেশের গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের প্রতি জাতীয় সংসদের দেওয়া দায়িত্বের কথা চিঠিতে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জেনোসাইড ওয়াচ ও লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের প্রদত্ত স্বীকৃতি বিশেষ সহায়ক হবে।

এর আগে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর যে অপরাধযজ্ঞ সংঘটিত করেছিল, তাকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জেনোসাইড ওয়াচ। এছাড়া, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতির ওপরে সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

সংস্থা দু’টি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্যও আহ্বান জানিয়েছে। গণহত্যা বিষয়ক সংস্থাগুলোর এই স্বীকৃতির ফলে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে অগ্রগতি হবে।

সারাবাংলা/টিএস/টিআর