বিজ্ঞাপন

‘দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন জনগণ মানবে না’

February 11, 2022 | 6:27 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঠাকুরগাঁও: দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এবারও দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে জনসাধারণ তা কখনোই মেনে নেবে না। জনসাধারণ জীবনের বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই জনগণ গণতন্ত্রবিরোধী এই তৎপরতা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবন কালিবাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি বিএনপি। সার্চ কমিটির কোনো উদ্যোগ বা আহ্বানেও বিএনপি সাড়া দিচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করে গত দুই বারের মতো নির্বাচন হলে বিএনপি কী করবে— এমন প্রশ্নের উত্তরেই মূলত বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সার্চ কমিটির কোনো উদ্যোগ বা আহ্বানে বিএনপির অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা নাকচ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সার্চ কমিটির এক জন সদস্য নিজেই গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তার বাবা আওয়ামী লীগ করতেন। ভাই ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব। এই হলো সার্চ কমিটি!

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রথম শর্ত— আওয়ামী লীগকে সরকার থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নিয়তির পরিহাস— যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল, সারাজীবন ক্ষমতায় থাকার দুরভিসন্ধিতে আজ তারাই সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চালু করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি মহাসচিব জানান, জাতীয় ঐক্যের জন্য বিএনপি সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন জেলা শাখায় আগামী মার্চের মধ্যেই সম্মেলন শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।

আমেরিকায় লবিস্ট নিয়োগ ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা সরকারের ‘ফলস ইস্যু’। আসল ইস্যু হচ্ছে— সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অজস্র গুম-খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এগুলো এখন কেবল  আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতই নয়, এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। র‍্যাব ও তার প্রধানকে নিষিদ্ধ করেছে।

বিদায়ী নির্বাচন কমিশনকে ধিক্কার জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা চরমভাবে ব্যার্থ। এদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে এরা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, দফতর সম্পাদক মামুন উর রশীদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাজিউর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে বিএনপি মহাসচিবের দোয়া মাহফিলে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন