বিজ্ঞাপন

আপনারা বড় দল, আপনাদের দায়িত্ব বড়— বিএনপিকে জাফরুল্লাহ

February 16, 2022 | 7:25 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আপনারা বড় দল, আপনাদের দায়িত্ব বড়। দিন চলে যাচ্ছে। প্রতিটি দিন এখন মূল্যবান। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারকে অবশ্যই সরাতে হবে। এখন আমাদের মূল কাজ হচ্ছে রাস্তায় নামা। সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামতে হবে। এখানে বিএনপির একটা বড় দায়িত্ব আছে।

বিজ্ঞাপন

‘তবে বিএনপিকে আরেকটু চিন্তা-ভাবনা করে আগাতে হবে। সবার সঙ্গে বসতে হবে, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক সবাইকে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে।’

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মেজর হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভা আয়োজন করে ‘জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশন’।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার মনে করে তারা খুব চালাক। কাউয়া যখন মরিচ লুকায তখন সে চোখ বন্ধ করে লুকায়। মনে করে পৃথিবীর কেউ তাকে দেখছে না। যে আইজিপিকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেই আইজিপিকে জার্মানিতে পাঠাচ্ছে রং বোঝার জন্য। উনি রঙের কি বোঝেন? এটা করা হচ্ছে আমেরিকাকে বোঝানোর জন্য যে তুমি যেতে না দিলে আমরা ইউরোপে যাচ্ছি। এইসব চালাকি করে কোনো লাভ হবে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে, তিনি গৃহবন্দী হয়ে ‘র’ আর মোসাদ পরিবেষ্টিত রয়েছেন। উনি দিনের আলো দেখতে পান না। উনার বাইরে যাওয়াতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু উনি উনার দলের লোকের সঙ্গেই দেখা করেন না। প্রথমবার যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন তখন সপ্তাহে একটা দিন জনগণের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। জনগণের বক্তব্য শুনতেন। এখন জনগণ দূরে থাক উনার পার্টির লোকরা দেখা করতে পারেন না।’

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সার্চ কমিটি যে ১০টি নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে তা আগেই প্রকাশ করতে হবে, যাতে জনগণ বক্তব্য দিতে পারে।’

জেনারেল ওসমানীর জীবনের নানা দিক ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান তুলে ধরে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ওসামানী ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। জেনারেল ওসমানী যেন ইতিহাস থেকে হারিয়ে না যায় তার জন্য আজকের মতো উদ্যোগ গ্রহণ কতে হবে এবং ইতিহাসের সঠিক জায়গায়য় উনাকে স্থান দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এতদিন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন ছিল না। আইনটা করার দরকার ছিল, করেছে। এই আইন নিয়ে কেউ কথা তুলছে না। এই আইন নিয়ে কথা তোলা দরকার। এই আইনে নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হাতে। সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নাম দেবে। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নিয়োগ দেবেন। এর মধ্যে নতুনত্বের কিছু নেই। বরং সরকার আগে যেটা করেছে সেটাকে আইনসিদ্ধ করল।’

‘আন্তর্জাতিকভাবে তারা (সরকার) চাপে রয়েছে বলে এই আইন করা হয়েছে। সামনে যে আরেকটা ভোট ডাকাতির নির্বাচন করবে, সেটাকে আরেকটু আইনের মোড়ক দিল। এটা যে তামাশা, তা পরিস্কারভাবে প্রমাণিত’— বলেন জোনায়েদ সাকি।

জেনারেল ওসমানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. জাহিদ-এ-রেজার সভাপতিত্বে ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, মহিববুল্লা বাহার প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন