বিজ্ঞাপন

২৪৫ রানে এগিয়ে সাউথ জোন

April 12, 2018 | 8:06 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চতুর্থ রাউন্ডে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল সাউথ জোন এবং ইষ্ট জোন। প্রথম ইনিংসে সাউথ জোনের ৪০৩ রানের জবাবে ৩০০ রানেই থেমে যায় ইস্ট জোনের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তোলে সাউথ জোন। তুষার ইমরান এবং সৌম্য সরকারের ব্যাটে ২৪৫ রানে এগিয়ে থেকে শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামবে সাউথ জোন।

১০৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে সাউথ জোন। তবে ইনিংসের শুরুতে হতাশ করেন ওপেনার এনামুল হক। দলীয় ১ রানেই ব্যাক্তিগত শূন্য রানে (১-১) সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো ইনিংস খেলেন ফজলে মাহমুদ। ৩৬ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান তুলে মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি (৬৬-২)। দলীয় ৭৭ রানে ব্যক্তিগত ২৪ রানে আশফুলের বলে ইয়াসির আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস (৭৭-৩)।

শেষ দিকে তুষার ইমরান এবং সৌম্য সরকার অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। আগের ইনিংসে শতক তুলে নেয়া তুষার ইমরান ৪৬ রানে এবং সৌম্য ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৬৫ রানের জুটিতে দিনশেষে তিন উইকেট হারিয়ে সাউথ জোনের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৪২ রান।

বিজ্ঞাপন

ইষ্ট জোনের হয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে সাফল্য না পেলেও বল হাতে ২৩ রান খরচায় ২টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আবু জায়েদ রাহী ১টি উইকেট নেন।

এর আগে দ্বিতীয় দিনে ৩ উইকেটে ৯৫ রান তুলে তৃতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ইস্ট জোন। দিনের শুরুতে দলীয় ১১২ রানে ব্যক্তিগত ২ রান করে ফিরে যান ইয়াসির আলী (১১২-৪)। দলীয় রান যোগ না হতেই ফিরে যান লিটন দাস। আগের দিনের ৬০ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটসম্যান আউট হন ব্যক্তিগত ৭৫ রানে (১১২-৫)।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক অলক কাপালি (১২৬-৬)। ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরেন জাকের আলী এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১১৪ রানের জুটি গড়ে জাকের আলী ফিরে যান ব্যক্তিগত ৭৬ রানে (২৪০-৭)। শেষ দিকে সোহাগ গাজী ১০ রানে (২৫৫-৮), আবু জায়েদ ১ রানে (২৯৬-৯) এবং খালেদ আহমেদ ৪ রানে আউট হয়ে ফিরে গেলে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০০ রানে।

বিজ্ঞাপন

সাউথ জোনের কামরুল ইসলাম রাব্বি ৯৩ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক এবং ডানহাতি স্পিনার নাঈম ইসলাম ৩টি করে উইকেট তোলেন।

এর আগে প্রথম দিনে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাউথ জোনের শুরুটা ভালো না হলেও ফজলে মাহমুদের ৮৯ রান এবং বাংলাদেশের রান মেশিন খ্যাত তুষার ইমরানের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহে পৌঁছে যায় সাউথ জোন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১০ হাজারি রানের ক্লাবের সদস্য তুষার ইমরান সেঞ্চুরি তুলে নেন। যা তার ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি। তুষারের নামের পাশে ৫৪টি হাফ-সেঞ্চুরিও আছে। ২২১ বল মোকাবেলা করে ১৬টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে তুষার ১৩০ রান করে বিদায় নেন। ১১টি চার আর ১টি ছক্কায় ১৬১ বলে ৮৯ রান করে বিদায় নেন ফজলে মাহমুদ। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনের ২২ রান, নুরুল হাসানের অপরাজিত ৪৪ রান এবং দেলোয়ার হোসেনের ৬৩ রানে সাউথ জোনের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০৩ রানে।

ইস্ট জোনের খালেদ আহমেদ চারটি উইকেট তুলে নেন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন দুটি, আবু জায়েদ রাহী দুটি করে উইকেট পান। সোহাগ গাজী একটি উইকেট তুলে নেন। অলোক কাপালি, আফিফ হোসেন এবং মোহাম্মদ আশরাফুল কোনো উইকেট পাননি।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইস্ট জোনের ওপেনার আফিফ হোসেন ব্যক্তিগত ১৪ রানেই বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা ইমতিয়াজ হোসেন ৫ রান করেন। আরেক ওপেনার লিটন দাস ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ বেলায় মোহাম্মদ আশরাফুল ১২ রানে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। সাউথ জোনের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি এবং আবদুর রাজ্জাক একটি করে উইকেট পান।

বিজ্ঞাপন

প্রথম তিন রাউন্ড শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে বিসিবি নর্থ জোন আছে সবার ওপরে। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোন। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে আছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন।

ইস্ট জোন: মোহাম্মদ আশরাফুল, লিটন দাস, অলোক কাপালি (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, ইয়াসির আলি, জাকের আলি, ইমতিয়াজ হোসেন, সোহাগ গাজী, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আবু জায়েদ রাহী এবং খালেদ আহমেদ।

সাউথ জোন: শাহরিয়ার নাফিস, এনামুল হক বিজয়, ফজলে মাহমুদ, তুষার ইমরান, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম হাসান, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), দেলোয়ার হোসেন, আবদুর রাজ্জাক এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন