বিজ্ঞাপন

দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশ্বাস মিয়ানমারের!

April 12, 2018 | 8:50 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: অতি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে বলে ঢাকা সফররত মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ড. উইন মায়াত আতায় বৃহস্পতিবার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে প্রত্যাবাসনের প্রথম ব্যাচ করে নাগাদ ফিরে যাবে বা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ করতে মোট কতোদিন লাগবে, সে বিষয়ে সুষ্পষ্ট করে কিছু বলেননি ড. উইন মায়াত আতায়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতসহ একাধিক জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ড. উইন মায়াত আতায় বলেন, খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। দুইটি কারনে বাংলাদেশে সফরে এসেছি। এখানকার একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখা এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ করা। আমার মনে হয়, অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন খুব দ্রুত শুরু করতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের যতো দ্রুত সম্ভব নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আমরা জাতিসংঘ এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকেও (ইউএইউচসিআর) যুক্ত করব।

যারা রোহিঙ্গা নির্যাতন করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের পিস কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. অঙ তুন থেট বলেন, আমাদের নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, যারা রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, অতি দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য বলেছি। রোহিঙ্গাদের কারণে আমরা কী কী ঝুকির মধ্যে রয়েছি, সেগুলো বিস্তারিত জানিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে দুই পক্ষ মিলে প্রত্যাবাসনের জন্য ফরম ঠিক করেছি। মিয়ানমার বলেছে যে তারা ঘড়-বাড়ি নির্মাণ করছে, যাতে রোহিঙ্গারা ফিরে গিয়ে বসবাস করতে পারে। এসব বাড়ি-ঘড় নির্মাণে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তারা বলেছে যে, যতো দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। রোহিঙ্গারা ফেরত গিয়েই তাদের আগের কর্মস্থলে ফিরতে পারবে না। তবে ফেরত যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা যে ক্যাম্পে থাকবে সেখানে তারা কিছু একটা করতে পারবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো সমস্যা দেখা গেলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা মিলে সমাধান করবে। ঢাকার পক্ষ থেকে নেপিডোকে প্রস্তাব করা হয়েছে যে রোহিঙ্গারা যাতে স্বেচ্ছায় ফিরে যায় এ জন্য মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে যেন স্বেচ্ছাসেবক পাঠানো হয়। ঢাকার এই প্রস্তাবে নেপিডো রাজি হয়েছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সমাজ কল্যান মন্ত্রী ড. উইন মায়াত আতায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় এসেছেন। প্রতিবেশি দেশটির সঙ্গে রোহিঙ্গা সঙ্কট সৃষ্টির পর এবারই প্রথমবারের মতো এই ইস্যুতে একজন মন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার সফরে বাংলাদেশে পাঠাল মিয়ানমার। এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসলেও তার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত। ড. উইন মায়াত আতায়ের বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন