বিজ্ঞাপন

এবার সংসদ থেকে নৌকায় ভোট চাইলেন শেখ হাসিনা

April 12, 2018 | 11:08 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এবার সংসদ থেকে দেশবাসীর কাছে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১২এপ্রিল) দশম জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে সংসদ নেতা হিসেবে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই লক্ষ্য নিয়েই দীর্ঘদিন কাজ করেছি এবং যখন সরকার গঠন করেছি তখন স্বাভাবিকভাবেই দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছি। যখনই সরকার গঠন করেছি, নিজেকে জনগণের একজন সেবক হিসেবে মনে করেছি। ক্ষমতাটা আমার কাছে দেশের সেবা করা, জনগণের কল্যাণ করা। নিজে কি পেলাম, না পেলাম কখনো সেই হিসাব আমি করিনি। সেই হিসাব করিও না। শুধু এইটুকু দেখি যে এই দেশের মানুষ কতটুকু পেলো। সেটাই আমার কাছে সব থেকে বিবেচ্য বিষয়। যেটা আমার বাবা সারাজীবন চেয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে মর্যাদার পাওয়ার কথা তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, আমরা এই অর্জনটা আরও ধরে রাখতে পারবো। যদি বাংলাদেশের জনগণ এই বছরের শেষে নির্বাচন কমিশন যে ঘোষণা দিয়েছে ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট  দিয়ে আমাদেরকে জয়যুক্ত করে। আর আমরা যদি সরকার গঠন করে দেশ সেবার সুযোগ পাই। আর এই অগ্রযাত্রাকে যদি ধরে রাখতে পারি, তাহলে আগামী ছয় বছরেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবো। তারপরে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করতে পারবো। জনগণের উপরই আমরা চাইব। জনগণ যদি ভোট দেন। তাহলে আমরা আসবো।

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সরকার শর্তগুলো এমন পর্যায়ে অর্জন করেছে, যদি আমরা নাও আসি। যদি তারা এটার ধ্বংস না চায়, বা উন্নয়নের ধারাটাও যদি অব্যাহত রাখতে পারে তাহলেও কিন্তু আমাদের কেউ আর পিছু হঠাতে পারবে না, বলেও জানান জানান তিনি।

এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন আসলে দেশকে পিছনে নিয়ে যাওয়ার কথা স্মরণ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, এই যে উদাহারণগুলো দিলাম। যদি ক্ষমতার পরিবর্তন হয় বা ওই বিএনপি-জামায়াত জোট বা যে কেউ ক্ষমতায় আসে তাহলে এই দেশের এই অগ্রযাত্রা তারা রাখতে পারবে কি না, আমার সন্দেহ আছে? একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে, আওয়ামী লীগই পারবে।

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনে এখন আমরা একটা মর্যাদা অর্জন করেছি। আগের মতো কারও কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচির ৯০ ভাগ নিজেদের অর্থায়নে করছি। কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে। কাজেই এই যে আমরা কাজ করতে পারছি। অবশ্যই আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা পরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণ করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তার শুভফল দেশের মানুষ পাচ্ছে। আমরা করি অন্তর দিয়ে। মানুষকে ভালবাসি। মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষ ভাল আছে কি না, সেটাই বিবেচ্য বিষয়। আমাদের নিজস্ব ভাগ্য পরিবর্তন করা না।

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীতের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ধন্যবাদের বেশি প্রয়োজন নাই। আমি মনে করি এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। সরকার যখন গঠন করতে পেরেছি, তখনই চিন্তা করেছি, আমি একটা কাজ করার সুযোগ পেলাম। যে কাজের মধ্য দিয়ে আমার দেশের মানুষ উপকৃত হবে। মানুষের কল্যাণ করতে পারবো। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবো। আমরা ধন্যবাদ জানাই জনগণকে। জনগণ আমাদের উপর আস্থা রেখেছে। বিশ্বাস রেখেছে। এই সুযোগটা পেয়েছি বলেই আজকে উন্নয়নটা করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই ক্ষমতা পাওয়া, এটা আমি মনে করি, দেশের মানুষ এবং উপরে আল্লাহর ইশারা থাকে। নইলে পাওয়া সম্ভব না। আল্লাহই ঠিক করেন, কাকে সম্মান দেবেন? কাকে না দেবেন। সেই সম্মানের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করেছি।

এ জন্য তিনি ধন্যবাদ প্রাপ্তিটা বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করে বলেন, যারা আমার উপর আস্থা-বিশ্বাস  রেখেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এই বিশ্বাস আমার আছে। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। এখন আমরা সেখানে ১৬ কোটি মানুষ। ১৬ কোটি মানুষকে যে দাবায়ে রাখা যায় না। এটা আজকে প্রমাণিত হয়েছে। অনেক ষড়যন্ত্র অনেক চক্রান্ত অনেক কিছু উপেক্ষা করে অনেক বন্ধুর পথ অতিক্রম করেই আজকে আমরা এই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

গত রোববার ২০তম অধিবেশন শুরু হয়। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯তম অধিবেশন শেষ হয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় এক অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন বসবে।

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন