বিজ্ঞাপন

আইজিসিসি’র আয়োজনে শিষ্যদের নিয়ে হিরুর নৃত্যসন্ধ্যা

February 21, 2022 | 9:37 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট

দেশের স্বনামধন্য নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু আনিসুল ইসলাম হিরু ও তার নৃত্যশিক্ষা কেন্দ্র ‘সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার’র শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক নৃত্যসন্ধ্যার আয়োজন করেছে ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি)। শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যে ৬টায় ইন্ডিয়া হাউজে এই নৃত্যসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

বিজ্ঞাপন

এই আয়োজন নিয়ে সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা নৃত্যগুরু আনিসুল ইসলাম হিরু সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর আমরা ভারতীয় দূতাবাসের সৌজন্যে দিল্লিতে একটি নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। সেটি ছিল বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএসএফ হেড কোয়ার্টারে। যেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং বিএসএফ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটাকে আমাদের নাচের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলাম, যা বেশ প্রশংসিত হয়। সেদিনের সেই পরিবেশনাটিই আমরা এখানে আবার করছি।’

পুরো আয়োজনটি শাস্ত্রীয় ও দেশীয় নৃত্যের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে বলে জানালেন হিরু। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্যের চর্চাটা বর্তমানে কমে গেছে। ছেলে-মেয়েরা মডার্ন বা কনটেম্পোরারি ড্যান্স, বিশেষ করে বাণিজ্যিক নাচের প্রতি ঝুঁকে গেছে। আসলে তারা চাকচিক্য ব্যাপারটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু এইসব সস্তা জনপ্রিয়তাকে এড়িয়ে যারা শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চায় রয়েছে তারা অনেক বেশি ডেডিকেটেড। আর তাদের ঘিরেই আমার পুরো নৃত্যজগত। এই দেশে ভরতনাট্যমের প্রচার প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছি। অর্থ নয়, শুদ্ধ নৃত্যচর্চাকেই গুরুত্ব দিয়েছি সবসময়। একজন নৃত্যগুরু হিসেবে আমার চেষ্টা ছিল ছেলেমেয়েগুলোকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার। জানি না কতটা পেরেছি। তবে এখনো হাল ছাড়িনি। আমি চাই আমার শিক্ষার্থীরা সফল হোক। তাদের মাধ্যমেই এ দেশে ভরতনাট্যমকে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি যে, ভারতীয় দূতাবাস সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারকে এমন একটি সুযোগ দিয়েছে। এই আয়োজনে আমরা শাস্ত্রীয় নৃত্যকেই প্রাধান্য দেব। মূলত শাস্ত্রীয় ভরতনাট্যমের নৃত্যশিল্পী হিসেবেই আমাদের পরিচিতি। তাই এই পরিবেশনার মধ্যে ভরতনাট্যমকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। আর এতে অংশ নিচ্ছে আমার নতুন ও পুরাতন শিক্ষার্থীরা। যাদের মধ্যে কয়েকজন শিশুশিল্পীও রয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে দুজন তারকা শিল্পী মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী ও সাবরিনা সাফি নিসা। সবমিলিয়ে বেশ ভালো একটি পরিবেশনা আমরা উপহার দিতে পারব বলে মনে করছি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএসজি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন