বিজ্ঞাপন

নিবন্ধন ছাড়াই ভ্যাকসিন নিতে উপচে পড়া ভিড়

February 26, 2022 | 2:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভিড় তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে কোটি মানুষকে গণটিকা কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রামে প্রায় চার লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার শেষদিন, এমন প্রচারণায় সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে জনসমাগম শুরু হয়। সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়াই ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় দলে দলে মানুষ ভিড়তে শুরু করে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে।

সকালে নগরীর জামালখান ওয়ার্ডের শতদল ক্লাব কেন্দ্রে দেখা গেছে ভ্যাকসিন প্রত্যাশী বিভিন্ন বয়সী লোকজনের লম্বা সারি। আসকার দিঘীর পাড়ের পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পাশের একটি বস্তির বাসিন্দা হাসনা হেনা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগেও কয়েকবার নিতে চেয়েছি। রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি, সেজন্য নিতে পারিনি। এবার বলেছে কিছু লাগবে না। সেজন্য এসেছি, দেখি দেয় কি না।’

একই কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দিয়ে বের হওয়া তানভীর নামের এক যুবক সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিবন্ধন লাগছে না। গেলেই ভ্যাকসিন দিয়ে দিচ্ছে। এটা খুব ভালো হয়েছে। সময়ও বেশি লাগছে না। সবার ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।’

বিজ্ঞাপন

নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টার, কাজির দেউড়িতে সমাদর ক্লাব, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রের সামনেও ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের লম্বা সারি দেখা গেছে।

তবে প্রথমদিকে কয়েকটি কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির নির্ধারিত সময়ের পরে কেউ বাকি থাকলে তাদেরও ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একজনও কেন্দ্রে এসে যেন ফেরত না যান সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন তিনি।

চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। নগরী ও জেলা মিলিয়ে প্রায় চার লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চসিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী সারাবাংলাকে জানান, নগরীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ১ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি আছে। ১২ বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত বয়সীরা পাবে ফাইজারের ভ্যাকসিন। এর চেয়ে বেশি বয়সীরা পাবেন সিনোভ্যাক্সের ভ্যাকসিন।

নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে কেন্দ্র এবং প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে বুথ চালু করা হয়েছে বলে কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী জানিয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নগরীর ভেতর তিনটি কেন্দ্র তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, অফিসার্স ক্লাব ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা ইয়াসমিন ও রাশেদা আক্তার নগরীর লালদিঘীর পাড় ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম হাসান, উপ-পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা ও সহকারি পরিচালক রাজীব পালিত, চসিকের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন