বিজ্ঞাপন

পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন, সূচক ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

March 7, 2022 | 5:26 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে। সর্বশেষ ১২ কার্যদিবসের মধ্যে নয় দিনই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এ সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক হারিয়েছে ৫৮৭ পয়েন্ট। সোমবার (৭ মার্চ) টানা চতুর্থ দিনের মতো সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দিয়ে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৭ মার্চ) দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮২ পয়েন্ট বা ২.৭৪ শতাংশ কমে সাত মাস ৮ দিন বা ১৫০ কার্যদিবস আগের অবস্থানে অর্থ্যাৎ ৬ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে নেমে আসে। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ জুলাই সূচকটি আজকের চেয়ে নিচে অর্থাৎ ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কের কারণে সারা বিশ্বের পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হচ্ছে। বাংলাদেশও এই আতঙ্ক থেকে বের হতে পারছে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১১০ ডলার ছাড়িয়েছে। অনেক বিনিয়োগকারীর ধারণা, যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে আরও স্থবিরতা নেমে আসতে পারে। এতে করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি ভালো ব্যবসা করতে পারবে না। আর ব্যবসা করতে না পারলে তাদের লভ্যাংশ দেওয়ার পরিমাণও কমে যাবে। এটা দরপতনের একটা কারণ হতে পারে।

এদিকে বিনিযোগকারীদের অভিযোগ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে পুঁজি করে কারসাজিকারিরা সুবিধা নেওয়ার জন্য পুঁজিবাজারে নানা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিচ্ছে। এই কারণে পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক দরপতন হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবশ্যই আজকের পতনের কারণ খুঁজতে হবে। সেইসঙ্গে এর সাথে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করারও দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সোমবার ডিএসইতে ৩৭৯টি কোম্পানির ২০ কোটি ৬৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৯টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র সাতটির, কমেছে ৩৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে আটটির দাম। দিন শেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৪০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এদিন ডিএসই প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৯৪ পয়েন্ট, ডিএসইএ-৩০ সূচক ৬৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে নেমে আসে।

অন্যদিকে, এদিন দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৯৪টি কোম্পানির ৯৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩১১টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৯টির, কমেছে ২৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিন শেষে সিএসইতে ২০কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৫৫ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৯৮৯ পয়েন্ট নেমে আসে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন