বিজ্ঞাপন

অল্প খরচে বেশি লাভ, চরাঞ্চলে বাড়ছে ক্যাপসিকামের চাষ

March 8, 2022 | 8:35 am

এম হেলাল উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ভোলা: ভোলার চরাঞ্চলে দিন দিনই বাড়িছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্যাপসিকাম ক্ষেতে রোগ ও পোকা-মাকরের আক্রমণ কম হওয়ায় সার-কীটনাশকের পরিমানও লেগেছে কম। এতে অল্প খরচেই বেশি লাভ পাচ্ছেন কৃষকরা।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে জানা গেছে, অন্য বছরের মত এবছরও ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝেরচর, দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মদনপুর চরে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন কৃষকরা। আর নতুন করে এ বছর মনপুরা উপজেলার চরাঞ্চলেও হয়েছে ক্যাপসিকাম চাষ। এবার কম খরচে অধিক ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। পাশপাশি রাজধানী ঢাকার পাইকারি বাজারে ক্যাপসিকামের দাম ভালো থাকায় বেশ খুশি কৃষকরা।

সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরের ক্যাপসিকাম কৃষক মো. শেখ ফরিদ, মো. সিরাজ ও কৃষাণী কামরুল নাহার জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্যাপসিকাম ক্ষেতে রোগ, পোকা-মাকরের আক্রমণ কম হয়েছে। তাই এবার ক্যাপসিকাম চাষে কম খরচ হয়েছিল। ক্ষেতেও অনেক ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার পাইকারি বাজারের প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ১১০/১২০ টাকা দামে বিক্রি করতে পারছি।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও জানান, গত বছরের চেয়ে এবছর ফলনের পাশাপাশি পাইকারি বাজারের দামও বেশি পাচ্ছি। তাই এ বছর ক্যাপসিকাম চাষ করে মাঝের চরের সব কৃষকরা লাভবান হয়েছে।

ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম নকীব বলেন, ‘আমাদের মাঝের চরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করা মানুষদের কৃষি কাজে আগ্রহী করেছি। আর অনেককে কৃষি কাজ করার জন্য আমরা জমিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যার ফলে অনেকে ক্যাপসিকাম চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। এরমধ্যে আমার জানা মতে ক্যাপসিকাম চাষ করে প্রায় শতাধিক কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এবছর ভোলার মাঝের চর , মদনপুর চর ও মনপুরার চরে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে। যা গত বছর ছিলো ৭০ হেক্টর।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, ‘আমরা কৃষকদের ক্যাপসিকাম চাষ করার জন্য পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহযোগিতা করেছি। আর ক্যাপসিকাম চাষে ব্যাপক লাভ হওয়া দিন দিন ভোলার কৃষক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

উল্লেখ্য, প্রায় ১০ বছর আগে ভোলার বিচ্ছিন্ন মাঝের চরে প্রথমবারে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন মনির পাঠান নামে এক কৃষক। তার দেখাদেখি বর্তমানে মাঝের চর, মদনপুর চরে ও মনপুরার চরে প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষ করছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন