বিজ্ঞাপন

‘সেই ভাষণ ছিল পরিস্থিতি বুঝে প্রতিরোধের নির্দেশনামা’

March 7, 2022 | 9:20 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিরোধের নির্দেশনামা। এই ভাষণ শুনে বাঙালির মনের জোর গেল বেড়ে। বাঙালি বুঝে গেল কী করতে হবে সামনের দিনগুলোতে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত একুশের বইমেলায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বরে চলছে এই বইমেলা।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেদিন শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই বক্তব্য দেননি। সূচারুভাবে ব্যবচ্ছেদ করলে এর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক সমান্তরালভাবে চোখে পড়ে। সেই ভাষণ শুনে পাকিস্তানিরাও হতভম্ব হয়ে রইল কিছুক্ষণ। বঙ্গবন্ধুর চাতুর্যময় রাজনৈতিক চালের বিপরীতে তারা চাললো নগ্ন একটি চাল। নিরীহ এবং নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হলো। শুরু হলো প্রত্যক্ষ মুক্তিসংগ্রাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বঙ্গবন্ধু একজন উদারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিতি পান। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিকটি খুব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে। তিনি বলেছিলেন- এই বাংলায় হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি-অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের ওপর। সরাসরি না বলেও তিনি বাঙালিদের বুঝিয়ে দিলেন তার মনের কথা।’

বিজ্ঞাপন

সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একাধারে জনগণ ও শাসকশ্রেণির নাড়ি বুঝতেন। সহজ-সাবলীলভাবে নিজের কথা জনগণকে বুঝিয়ে দিতে পারতেন। ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি বলেছিলেন- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই বক্তব্য শোনার জন্যই সেদিন বাঙালি মুখিয়ে ছিল। জয় বাংলা বলে তিনি ভাষণ শেষ করেন। সেই স্লোগান পরে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের রণধ্বনিতে পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জয় বাংলা স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেছেন, এটা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান, বইমেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. জসিম উদ্দীন, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ এবং কবি ওমর কায়সার। এর আগে, বইমেলার মঞ্চে উদীচী চট্টগ্রামের শিল্পীরা গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন