বিজ্ঞাপন

বিশ্বায়নের বাস্তবতায় মানবতার ডাক

April 14, 2018 | 11:16 am

লেখা: প্রতীক আকবর

বিজ্ঞাপন

ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত

ঢাকা: বৈশাখের প্রথম প্রহর মানেই রমনা বটমূল, সম্মিলত গান। ছায়ানটের আয়জনে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি এখন দেশের ঐতিহ্যবাহী আয়োজন। এবার ছিল সংগঠনটির ৫১তম আয়োজন। প্রভাতী আয়োজনে ১৪২৫ এর প্রথম সকাল বরণ করা হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে ছিল সুর-সংগীত ও আবৃত্তি। তবে এগুলোর সঙ্গে ছিল মানবতার ডাকও।

বিজ্ঞাপন

১৪ এপ্রিল, শনিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। আড়াই ঘণ্টার অনুষ্ঠান শেষ হয় ছায়ানট সভাপতি সন্‌জিদা খাতুনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। বাংলা সন ১৪২৫ বরণ অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’। এই প্রতিপাদ্যেই লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সন্‌জিদা খাতুন।

তার কথনে ছিল মানবতার ডাক, পারস্পরিক সহযোগিতা-সহমর্মিতা সর্বোপরি ভালোবাসার আহ্বান। বিশ্বায়নকে স্বীকার করেই কীভাবে দেশ ও দেশের মানুষের সমৃদ্ধি আনা যায়, বক্তব্যে সেই কথাই তুলে ধরেন সন্‌জীদা খাতুন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ও আলো-বাতাসের রস সম্পদ সমস্ত মিলে আমাদের করে তুলবে পুর্ণাঙ্গ মানুষ। আর এভাবে শ্বাশত মানুষ হওয়ার অভিযাত্রা সফল হবে। বাংলাদেশের আকাশ, বাতাস, পাহাড়, সমতল, প্রান্তর, নদী, সমুদ্র, হাওর, ফুল-ফল, পাখ-পাখালি সবই আমাদের প্রিয়। প্রিয় আমাদের সকল মানুষ। পরস্পর সংঘবদ্ধ থেকে বিশ্বকেও সংযুক্ত করে নেব আমাদের সঙ্গে। শিকড়ের মাটিতে দৃঢ়বদ্ধ থেকে বিশ্বায়নের ফলে পাওয়া সুন্দরকে আত্মগত করে ঋদ্ধ হব আমরা। বিশ্বায়ন আজ আমাদের কাছে বাস্তব সত্য। বিশ্বের সংগীত, সাহিত্য, শিল্পকর্ম, বিজ্ঞানে যে মহান অর্জন তা সব নেব আমরা। আত্মস্থ করতে হবে সকল মানবিক সম্পদ। সেই সত্য সুন্দর সমৃদ্ধ করবে আমাদের। দেশের মানুষের সংগে বিশ্বের মানুষের যোগেই আসবে মানব কল্যান। ১৪২৫ এর পয়লা বৈশাখের স্নিগ্ধ প্রভাতে দেশবাসির জন্য এই আজ ছায়ানটের বার্তা।’

সন্‌জিদা খাতুনের কথন শেষে সবাই মিলে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত।

 

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিএ/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন